|
|
|
|
সবংয়ে জয়ীদের সংবর্ধনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল ঝড়ে উড়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। মাঝপথে থেকে গিয়েছে একটি ‘হাম্প’। যার নাম সবং। এ বার ১৮টি আসন পেয়ে এককভাবেই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে সক্ষম হয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতও কংগ্রেসেরই দখলে।
শুক্রবার সবংয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরাজিতদেরও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল সভায়। সেখানে সবংয়ের বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া বলেন, “চারিদিকে তৃণমূল ও পুলিশি সন্ত্রাসের পরেও যে ভাবে সবংয়ে কংগ্রেসের ধ্বজা উড়িয়েছে কর্মীরা তাতে আমি খুশি। চরম সন্ত্রাসের কারণে বহু জায়গাতেই আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি, কোথাও প্রার্থী দিলেও এজেন্ট দেওয়া যায়নি, সেখানে একটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে এলাকার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, আমি তাঁদের বাড়িরই ছেলে।” তারই সঙ্গে দশগ্রাম, ভেমুয়া, মোহাড়-সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার বুথে প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে মানসবাবু বলেন, “কোনও বুথে কংগ্রেস পেয়েছে ৫৫টি ভোট তো সেখানে তৃণমূল পেয়েছে সাড়ে ৬০০ ভোট। এটা সন্ত্রাস ছাড়া হতে পারে না। এই সমস্ত বুথের পরিসংখ্যান নির্বাচন কমিশনে পাঠাবো, মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখাব।” |
|
সবংয়ে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা সভায় অমল পণ্ডাকে বরণ করছেন মানস ভুঁইয়া।
পাশে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের একমাত্র জয়ী প্রার্থী বিকাশ ভুঁইয়া। শুক্রবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
সবংয়ের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি দখল করেছে কংগ্রেস, তৃণমূলের দখলেও ৪টি, সিপিএম পেয়েছে ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু। গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৭৪টি, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৬২টি, বামফ্রন্ট পেয়েছে ৪২টি আর নির্দলরা পেয়েছে ২২টি আসন। আসনের দিক দিয়ে সব থেকে বেশি পেয়েছে কংগ্রেস। আর পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ১৮টি, বামফ্রন্ট ৬, তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি ও নির্দলরা পেয়েছে ২টি আসন। আর জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে ১টি কংগ্রেস, ১টি তৃণমূল ও ১টি সিপিএম পেয়েছে।
প্রবল তৃণমূল ঝড়েও সবংয়ে কংগ্রেসের সাফল্যে খুশি মানস ভুঁইয়া থেকে দলীয় কর্মী সকলেই। তাই এ দিনের সংবর্ধনা মঞ্চ থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে দলের ব্লক সভাপতি অমল পাণ্ডার নাম ঘোষণা করে দেন মানসবাবু। তারই সঙ্গে জানিয়ে দেন, “আত্মসন্তুষ্টির অবকাশ নেই। আরও ভাল ফল করার জন্য সকলকে কাজ করতে হবে।” ঘোষিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পাণ্ডা বলেন, “দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তৈরি করতে আমরা বদ্ধপরিকর।” |
|
|
|
|
|