|
|
|
|
অন্ধ্র নিয়ে আজ বৈঠকে সনিয়া |
৯ সাংসদের ইস্তফায় মন্দের ভাল, মন্ত্রীদের আটকাল দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। তার আগে অন্ধ্রপ্রদেশের ন’জন কংগ্রেস নেতা সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে কিছুটা বিপাকে ফেলে দিলেন দলের হাইকম্যান্ডকে। এমনকী, অন্ধ্র থেকে কংগ্রেসের চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও আজ মন্ত্রিসভা ছাড়তে উদ্যত হয়েছিলেন রাজ্য ভাগের প্রতিবাদে। তাঁদের বুঝিয়ে আজকের মতো বিরত করেন দিগ্বিজয় সিংহ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, অন্ধ্রের সাংসদের ইস্তফায় বাদল অধিবেশনে হট্টগোলের আশঙ্কা কিছুটা কমলো। সেটা বরং কংগ্রেসের পক্ষে মন্দের ভাল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে অন্ধ্রের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলে সরকার বিড়ম্বনায় পড়ে যাবে। বিশেষ করে প্রশ্নোত্তর পর্বে সমস্যায় পড়বে সরকার।
সে কারণেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তরফে অন্ধ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দিগ্বিজয় ওই চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন, আগামিকাল সনিয়া গাঁধী এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে এক বার বৈঠক করার পরেই যেন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন।
এই চার মন্ত্রী হলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পল্লম রাজু ও তিন প্রতিমন্ত্রী পুরন্দেশ্বরী, কিল্লি কুরুপারানি এবং জে ডি সেলম। দিগ্বিজয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা জানান, এআইসিসি-র বর্ষীয়ান নেতা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশ ও রায়লসীমার উন্নয়নে সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হবে। ওই কমিটিই অন্ধ্রের এই দুই অঞ্চলের সমস্যা ও অসুবিধাগুলি বিবেচনা করে দাওয়াই বাতলে দেবে।
তবে শুকনো আশ্বাসে অন্ধ্রের সাংসদদের থামানো যাবে কিনা, তা নিয়ে দলেরই অনেকে সন্দিহান। তাঁদের মতে, রাজ্য ভাগ হওয়ায় নিজ-নিজ এলাকার মানুষের কোপের মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের সাংসদরা। তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করা হচ্ছে। কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে। ফলে তাঁদের রাজনৈতিক অস্তিত্বই এখন সঙ্কটের মুখে। তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্তে যে তাঁদের সায় নেই, তারই প্রমাণ দিতে মরিয়া দলের ওই সাংসদরা। মূলত সে কারণেই দলের পাঁচ জন লোকসভা সদস্য এ দিন সভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে ইস্তফা পেশ করেন কে ভি পি রামচন্দ্র রাও। আরও তিন সাংসদ ফ্যাক্সে তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। পরে অন্ধ্রের ওই কংগ্রেস সাংসদরা জানান, তাঁদের ইস্তফা যাতে গৃহীত হয়, সে জন্য বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই তাঁরা মীরা কুমারের সঙ্গে দেখা করবেন।
তবে কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, সাংসদদের ইস্তফা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয় হাইকম্যান্ড। কারণ, এমনিতেই লোকসভা ভোট আসন্ন। সংসদে হাজির থাকলে বরং এই সাংসদরা নিজ-নিজ রাজনৈতিক দায়ে অন্ধ্র ভাগের বিরুদ্ধে সরব হতেন। স্লোগান-বিক্ষোভে পণ্ড করে দিতে পারতেন সভা। অতীতে তেলেঙ্গানার সাংসদরা যা করেছিলেন। কিন্তু মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রী ইস্তফা দিলে সরকারকে ফের মন্ত্রিসভার রদবদল করতে হবে বা অন্য কোনও মন্ত্রীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিতে হবে। ভোটের মাত্র ক’মাস আগে সেটাও বিড়ম্বনার।
অন্ধ্রের নেতাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার আরও একটি কারণ ঘটেছে এ দিনই। হায়দরাবাদে প্রস্তাবিত নতুন আইআইটি গড়ে তোলার জন্য আজ ১ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
|
পুরনো খবর: কোথায় হবে নয়া রাজধানী, গৃহযুদ্ধের পথে অন্ধ্রপ্রদেশ |
|
|
|
|
|