রেলে চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের নাম বিকাশ মালিক এবং বীরেন্দ্র সিংহ। তারা দু’জনেই হরিয়ানার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, রণবীর সিংহ নামে এক ব্যক্তি ৭ জুন হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেন, রেলে চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি বিকাশকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা দেন। তিনি নিয়োগপত্রও পান। তবে দু’ মাস পরে বেতন বন্ধ হওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি অভিযোগ জানান থানায়। পুলিশ তদন্তে নেমে ১৮ জুন বীরেন্দ্রকে শিয়ালদহের কাছ থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, বিকাশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭ জনের জাল পরিচয়পত্র মিলেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রেলের কয়েক জন অফিসারের নামও উঠে আসছে বলে জানিয়েছেন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ। শুক্রবার তিনি বলেন, “এরা আবেদনকারীর বিশ্বাস অর্জন করতে নৈহাটিতে রেলের আবাসনে নিয়ে গিয়ে তাদের রেলের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিত। জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার পাশাপাশি আবেদনকারীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করাত।”
পুলিশ জানায়, দমদমের একটি বাড়িতে বীরেন্দ্র তার বন্ধুদের সঙ্গে থাকত। বীরেন্দ্র ধরা পড়তেই তার সঙ্গীরা পালায়। বিকাশ নামে অন্য অভিযুক্তকে হরিয়ানা পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হয়।
এ দিকে, যাদবপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর নামে একাধিক লোককে প্রতারণার অভিযোগে দু’জন গ্রেফতার হয়। ধৃতদের নাম সম্বরণ চক্রবর্তী ওরফে রাহুল বসু ও নীরা মিত্র।
পুলিশ জানায়, ১৯ জুলাই বর্ধমানের বাসিন্দা প্রবীর কুমার চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর ছেলেকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। পুলিশকে তিনি জানান, কসবা থানার শরৎ পার্কে ‘কেরিয়ার গাইডেন্স’ নামে একটি সংস্থায় তিনি কয়েক দফায় ১৫ লক্ষ টাকা দেন। অভিযোগ, ‘ম্যানেজমেন্ট কোটা’য় তাঁর ছেলেকে ওই কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অভিযুক্তেরা। পুলিশ জানায়, রাহুল বৃহস্পতিবার রাতে ও নীরা শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে এমন প্রতারণার আরও ৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। শুক্রবার আদালতে অভিযুক্তদের ৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়। |