নতুন এসি বা বাতানুকূল যন্ত্র লাগানোর অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র লিখে আর সিইএসসি-র অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে এই কাজ সেরে ফেলা যাবে। গ্রাহক পরিষেবার মান বাড়াতে আসন্ন পুজোতেই নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে সিইএসসি।
সংস্থার এমডি অনিরুদ্ধ বসু বলেন, “শুধু এসি-র আবেদনই নয়। গ্রাহকেরা যাতে নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ, মিটারের নাম পরিবর্তন-সহ বিভিন্ন পরিষেবা অনলাইনেই পেতে পারেন, তার কাজ চলছে। এর ফলে সংস্থার অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের আর সময় নষ্ট করতে হবে না।”
সিইএসসি সূত্রের খবর, অনলাইনে গ্রাহকদের কী ধরনের পরিষেবা দেওয়া যায়, তা জানতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও। কম্পিউটারের মাউস ক্লিক করে সহজেই যাতে বিভিন্ন পরিষেবা মিলতে পারে, তার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন সিইএসসি-র কর্তারা। অনিরুদ্ধবাবুর দাবি, বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটাই সিইএসসি-র অন্যতম লক্ষ্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমরা এখন গ্রাহকদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
দীর্ঘদিন সিইএসসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর-পদে দায়িত্ব সামলেছেন সুমন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ জুলাই তাঁর অবসরের পরে ১ অগস্ট ওই পদে বসেছেন অনিরুদ্ধবাবু। তিনি জানান, সিইএসসি-র ২৭ লক্ষ গ্রাহককে আরও উন্নত মানের পরিষেবা দেওয়াই সংস্থার লক্ষ্য। তাই আগামী দিনে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা কতটা বাড়তে পারে, তা হিসেব করে বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করার কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো খাতে বছরে অন্তত ৮০০-৮৫০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। সিইএসসি-র কর্তারা মনে করছেন, এখন গরমের সময় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে দৈনিক প্রায় ১৯০০ মেগাওয়াট। ১০ বছরের মধ্যে সেই চাহিদা বেড়ে ৩০০০ মেগাওয়াট হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। |