তাঁর হাতে থাকা একটি দফতর তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলম। আর তার জন্য পুরসভার ডিজি (জল সরবরাহ)-র বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন তিনি। ফরজানার অভিযোগ, জাহাজে জল সরবরাহের জন্য অকেজো থাকা দু’টি বার্জ সারানোর কথা বারবার বলা হলেও কাজ হচ্ছে না। আসলে ওই দফতরকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। শুক্রবার এই নিয়ে মেয়র পরিষদের বৈঠকেও মেয়রের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় তাঁর। এমনকী, এক সময়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন ডেপুটি মেয়র।
পুরসভা সূত্রের খবর, বিভিন্ন জাহাজে পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে পুরসভায় একটি দফতর রয়েছে। সেটি ডেপুটি মেয়রের হাতেই। জল সরবরাহের জন্য তিনটি বার্জ রয়েছে পুরসভার। তার দু’টি খারাপ। একটিতেই কাজ করা হয়। ডেপুটি মেয়র বলেন, “খারাপ থাকা বার্জ দু’টি সারানোর জন্য মেয়র পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব দিতে বলেছিলাম ডিজি-কে। কিন্তু তিনি তা করেননি।” |
 ফরজানা আলম |
 শোভন চট্টোপাধ্যায় |
|
পুরসভা সূত্রের খবর, বৈঠক শুরু হতেই জানতে পারেন বিষয়টি মেয়র পরিষদের আলোচ্যসূচিতে নেই। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ফরজানা। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন সংশ্লিষ্ট ডিজি। কেন ওই প্রস্তাব বৈঠকে পাঠানো হয়নি, তিনি তা জানতে চান ওই ডিজির কাছে। তখন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, আলোচ্যসূচিতে তোলার আগে ঘটনাটি লিখিত ভাবে মেয়রকে জানানো প্রয়োজন ছিল। একাধিক মেয়র পারিষদ জানান, থেমে থাকেননি ফরজানাও। বলেন, মেয়রকেও বহু বার জানানো হয়েছে। তাতে অবশ্য কর্ণপাত করেননি মেয়র। এতেই আরও চটে যান ফরজানা। বলতে থাকেন ‘অফিসার যদি কথা না শোনেন, তা হলে দায়িত্বে থেকে লাভ কী? বলে দিন, চলে যাচ্ছি।’ এর পরেই তিনি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন। পরে অন্য সদস্যেরা তাঁকে সংযত করেন।
এ দিকে জল সরবরাহ দফতর সূত্রের খবর, জাহাজে জল সরবরাহ করে পুরসভার লোকসান হয়। যদিও তা অস্বীকার করেছেন ডেপুটি মেয়র। তাঁর বক্তব্য, গত ৬ মাসের হিসেবে দেখা গিয়েছে জল সরবরাহ করে পুরসভার লাভ হয়েছে। বাকি বার্জ দু’টি সারানো হলে তা বাড়বে বলে ডেপুটি মেয়রের দাবি। পরে বিষয়টি দেখার জন্য পুর-কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। |