আশুতোষ কলেজের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ দায়ের করলেন কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিরূপ মুখোপাধ্যায় নামে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে কালীঘাট থানার পুলিশ। শুক্রবার আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন অভিরূপ। পুলিশ সূত্রের খবর, নিগৃহীতা ছাত্রী ও অভিযুক্ত দু’জনেই কালীঘাটের বাসিন্দা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী কলেজ থেকে বেরিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময়ে অভিরূপ তাঁকে কটূক্তি করেন। তার পরেই কালীঘাট থানায় অভিরূপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। তার ভিত্তিতে অভিরূপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, গোলমালের সূত্রপাত বুধবার। অভিযোগ, ওই দিন কলেজে প্রথম বর্ষের ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। ওই ছাত্রী ভবানীপুর থানায় কয়েক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। সে দিনই ভবানীপুর থানায় অভিযুক্ত ছাত্রেরা ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এই দু’টি ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে বুধবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার করা হল মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির এক নেত্রীকে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম জয়িতা দাস। বাড়ি দমদমে। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজের ছাত্রী। শুক্রবার বিকেলে চারু মার্কেট এলাকা থেকে তাঁকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশের দাবি, ধৃত তরুণী সিপিআই (মাওবাদী)-এর সিটি কমিটির সদস্যা। এসটিএফ সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় জয়িতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মাওবাদীদের চিঠি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জয়িতার বিরুদ্ধে ইউএপিএ (দেশদ্রোহ)-তে মামলা করা হবে বলে গোয়েন্দা কর্তারা জানান। গত বছর কসবা এলাকা থেকে মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির আর এক নেত্রী দেবলীনা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জয়িতা দীর্ঘদিন ধরেই নোনাডাঙা-সহ নানা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। শহরে বসে মাওবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিষেণজির দেহ অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় জয়িতাও সঙ্গে যান বলে পুলিশের দাবি। জয়িতার গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। এপিডিআর-এর নেতা রঞ্জিত শূর বলেন, “কোনও সভ্য দেশের নাগরিককে এ ভাবে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা যায় না।”
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শুক্রবার, কাশীপুর থানা এলাকার বিটি রোডে। মৃত ব্যক্তির নাম জীবন থাপা (৪৮)। তিনি নেপালের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি পাম্পঘরের কর্মী ছিলেন তিনি। এ দিন সেখানেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়েরা পুলিশে খবর দেন। তাঁর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। পুলিশের অনুমান, অত্যধিক নেশার কারণেই এই মৃত্যু। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৩৫)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুর থানার ডায়মন্ড হারবার রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাস্তা পার হওয়ার সময়ে একটি গাড়ি ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
|
নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সার্ভে পার্ক থানার মিড্ল রোডে। মৃত ব্যক্তির নাম গোপাল দাস (৫৪)। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই রাতে গোপালবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে। কোনও সুইসাইড নোট অবশ্য পাওয়া যায়নি। |