চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জেলায় কত জন পর্যটক এসেছেন, পর্যটকদের মধ্যে এ দেশের কত জন, বিদেশের কত জন, কতজনই বা হোটেলে থেকেছেনজেলা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য তলব করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। ইতিমধ্যে ওই দফতরের চিঠি এসে পৌঁছেছে জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের মতে, জেলার পর্যটন ঢেলে সাজতে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সব পরিকল্পনার জন্যই এমন তথ্য তলব করা হয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই নয়, রাজ্যের অন্য জেলা থেকেও এই তথ্য তলব করা হয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, “পর্যটন দফতর থেকে জুলাই মাসে একটি চিঠি এসেছে। কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। দফতরের নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে এক সময় প্রচুর পর্যটক আসতেন। এখানে ছোট ছোট পাহাড়, ঝর্না, গভীর জঙ্গল, প্রাচীন মন্দির রয়েছে। সব মিলিয়ে জঙ্গলমহলের এই এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। মাঝে দীর্ঘ অশান্তির জেরে পর্যটকদের সংখ্যা কমে। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। এ দিকে, একটা সময় ঝাড়গ্রামকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠায় জেলার অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো সে ভাবে প্রচারের আলোয় আসেনি। জেলার অন্যত্রও বেশ কয়েকটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক, প্রাচীন মন্দির রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে পশ্চিম মেদিনীপুরে ট্যুরিজম সার্কিট গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়। ইতিমধ্যে রাজ্য পর্যটন দফতর প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রও দিয়েছে। প্রস্তাবিত সার্কিটের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে। যেমন, মেদিনীপুর শহর ঘেঁষা গোপগড়, রানি শিরোমণির স্মৃতি বিজড়িত কর্ণগড়, মন্দিরময় পাথরা, ক্ষুদিরামের জন্মস্থান মোহবনি, বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ, পরিমল কানন, গড়বেতার সর্বমঙ্গলা মন্দির, গনগনি প্রভৃতি। খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার জকপুরে ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা মতো প্রকল্পের কাজ হলে জেলায় আসা পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা প্রশাসনের। |