সরকারি হোম থেকে দুই কিশোরীর পালানোর চেষ্টায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার কোচবিহারে শহিদ বন্দনা স্মৃতি মহিলা হোমে ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতি বার জেলাশাসকের নির্দেশে হোমে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ মিত্র। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়াররাও হোমের নিরাপত্তা-সহ পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। জেলাশাসক মোহন গাঁধী এ দিন বলেন, “এডিএম এবং ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এডিএম সুদীপবাবু বলেন, “জানালার গ্রিল মরচে ধরে ক্ষয়ে যাওয়ায় তা খুলে বার হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ওই আবাসিকরা। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা হচ্ছে।”
শহর লাগোয়া বাবুরহাটের শহিদ বন্দনা স্মৃতি মহিলা হোম সমাজকল্যাণ দফতরের অধীন। অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী শতাধিক নাবালিকা সেখানে থাকে। বুধবার রাতে তাদের মধ্যে ১২ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরী বাথরুমের জানালার মরচে ধরে পড়া গ্রিল খুলে বাইরে বার হয়। তার পরে তারা গাছ বেয়ে প্রায় ১১ ফুট উঁচু প্রাচীর টপকে বাইরে যায়। বাবুরহাট মোড়ের কাছে এক নৈশপ্রহরী তাদের ধরে পুলিশকে খবর দেন। তাঁদের হোম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কোচবিহার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, “দুই কিশোরীর বাড়ি মালদহে। তবে তাদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বছর দুয়েক থেকে তারা ওই হোমে রয়েছে। আবাসিকদের সঙ্গে গোলমালের পর তারা পালানোর চেষ্টা করেছিল।” তিনি জানান, পরিকাঠামোর হাল ফেরানো ছাড়াও প্রতি রাতে পুলিশি পাহারার বন্দোবস্ত করার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে। |