স্কুলের জলে অসুস্থ পড়ুয়ারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলের নলকূপের জল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ল কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। অসুস্থ হলেন এক শিক্ষকও। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সবংয়ের ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমদা গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেডিক্যাল টিম। ৭ জন পড়ুয়াকে সবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবশ্য ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সম্ভবত জল থেকে এই ঘটনা।” ওই প্রাথমিক স্কুল চত্বরেই নলকূপ রয়েছে। এ দিন তার জল পান করে ছাত্রছাত্রীদের কয়েকজন বমি করতে শুরু করে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা স্কুলে আসেন। পৌঁছন সবংয়ের বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। মেডিক্যাল টিম এসে চিকিৎসার পর ৭ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নলকূপটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে চিঠি লেখা হয়েছে। বিডিও বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে যে ক’জন ভর্তি রয়েছে, তাদেরও শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।” বিকেলে ফের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ বোধ করে। মেডিক্যাল টিম গিয়ে তাদের চিকিৎসা করে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
|
ম্যালেরিয়ার জীবাণু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
জ্বরে ভুগে সদ্য মৃত্যু হয়েছে ছেলে ও স্ত্রীর। এ বার বিষ্ণুপুরের ভালুকা গ্রামের চুনারাম হাঁসদার রক্তেও ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ার জীবাণু। জ্বরে আক্রান্ত চুনারামকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে বুধবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। কয়েক দিন জ্বর ভোগার পরে সোমবার রাতে বাঁকুড়া মেডিক্যালেই মৃত্যু হয়েছিল চুনারামের স্ত্রী সুন্দরী ও ১১ বছরের ছেলে নির্মলের। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ দাস বলেন, “মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছিলাম। ১৩ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এঁদের মধ্যে চুনারামের রক্তে ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছে।” এলাকায় আর কেউ জ্বরে আক্রান্ত না হলেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
|
পলিগ্রাফ পরীক্ষা প্রধান শিক্ষিকার |
ছপরা মিড ডে মিল কাণ্ডে ধৃত প্রধান শিক্ষিকা মীনা দেবীর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করল দিল্লির কেন্দ্রীয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার ছপরা সদর থানায় মীনা দেবীর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়। আদালতের অনুমতিতে মীনা দেবীকে দু’দিনের জন্য জেল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দেড়টা থেকে রাত পর্যন্ত দু’দফায় এই পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়। সেই সময় রাজ্যের কোনও পুলিশ আধিকারিক বা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ডিজিপি অভয়ানন্দ আগেই বলেছিলেন, তদন্তের স্বার্থে দিল্লির বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে। মীনা দেবীকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে এই পরীক্ষা করানো হবে বলেও ঠিক হয়। পরে ঠিক হয়, দিল্লির বিশেষজ্ঞরা ছপরায় এসে এই পরীক্ষা করবে। দিল্লির দুই বিশেষজ্ঞ কালই পটনায় পৌঁছে যান। এ দিন সকালে দু’জন ছপরায় গিয়ে এই পরীক্ষা করেন।
পুরনো খবর: পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে মীনা দেবীর |
অসুস্থ যাত্রীরা
সংবাদসংস্থা • সিডনি |
সান্তিয়াগো থেকে সিডনি আসার পথে কোয়ান্টাসের একটি বিমানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জনা ত্রিশেক যাত্রী। সকলেই বমি করতে শুরু করেন। ছটফট করতে থাকেন পেটের ব্যথায়। বিমানটি অবতরণের পর তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিমান সংস্থাটির দাবি, বিমানবন্দর থেকেই কোনও ভাবে যাত্রীদের দেহে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। বিমানে কয়েক ঘণ্টা থাকার পর সেই সংক্রমণের প্রভাবেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। |