আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও। কিন্তু, গ্রামে আসেনি চিকিৎসক দল। এই অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে কাশীপুর-বাঁকুড়া রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কাশীপুরের বড়রা পঞ্চায়েতের দুই গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। খবর পেয়ে পরে এলাকায় যান কাশীপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। গ্রামে অসুস্থদের চিকিৎসাও করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজড়া, কামারকানালি, রাধামাধবপুর ও মানতারিয়া গ্রামে কয়েক দিন ধরে আন্ত্রিকের প্রকোপ ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিল রাধামাধবপুর গ্রামের দশ বছরের এক বালিকা। সম্প্রতি সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তার। অবরোধে সামিল হওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রতিদিন আন্ত্রিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে গ্রামগুলিতে। কাছের তালাজুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রর দূরত্ব গ্রাম থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার। প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় গাড়ির অভাবে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আবার সেখানে চিকিৎসকের অভাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে বা পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভোগান্তি আরও বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, আনন্দ মাজি, বিজয় মাজি, দূর্গাদাস মাজিদের অভিযোগ, “স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী রেফার করা হচ্ছে। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার কথা জানে।” বিক্ষোভ-অবরোধের পরে চিকিৎসক দল নিয়ে ওই গ্রামগুলিতে যান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি সাহা। তিনি বলেন, “আমরা ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই বিশেষ নজর দিয়েছি। বুধবার শতাধিক রোগীর চিকিৎসা করানোর পরে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কেউই মারাত্মক অসুস্থ নন। তবে একটি মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।” |