ত্রিশঙ্কু নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গড়তে সিপিএম এবং কংগ্রেসের সহযোগিতা চাইল তৃণমূল কংগ্রেস, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা জোট। উল্লেখ্য, ১৪ আসনের নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস ৩ এবং তাদের সহযোগী ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ৩টি আসন পেয়েছে। সিপিএম ৪ এবং কংগ্রেস ৩ এবং পিপিপি ১টি আসন পেয়েছে। বোর্ড গঠনে প্রয়োজন অন্তত ৮টি আসন। তা না থাকায় সিপিএম বা কংগ্রেসের কাছে সমর্থন চাইছে তারা। বৃহস্পতিবার নাগরাকাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস দফতরে একথা জানান ব্লক কার্যকরি সভাপতি অসিতাভ বসু। জোট সঙ্গী ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার পক্ষে শুক্রা মুন্ডাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অসিতাভবাবু বলেন, “নাগরাকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সিপিএম এবং কংগ্রেস উভয়ের কাছেই সমর্থন চাইছি।” নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির মতোই জটে আটকে আছে নাগরাকাটার চাম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে ঝাড়খন্ড মোর্চা এবং তৃণমূল কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধান পদটি তপসিলি মহিলা প্রার্থীর জন্যে সংরক্ষিত। কিন্তু তৃণমূল জোটের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে কোন তপসিলি মহিলা নেই। সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে এ দিন আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক। তিনি বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস জোট গড়ার সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে। দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টাবে বলেও তিনি দাবি করেন।” এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস জোটকে সমর্থন দেওবার বিষয়ে এখনই কিছু বলতেচায়নি সিপিএম। সিপিএমের নাগরাকাটা বানারহাট জোনাল সম্পাদক রামলাল মুর্মু বলেন, “দলে বিস্তারিত আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। কংগ্রেস নেতা তথা নাগরাকাটার বিধায়ক জোসেফ মুণ্ডাও এখনই এবিষয়ে কিছু বলতে চাননি। |