পঞ্চায়েত ভোটের জন্য চার মাস গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নের কাজ বন্ধ ছিল। ভোট মিটেছে। এ বার দ্রুত কাজে নামতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে ১২ অগস্ট রাজ্যের সব জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের বৈঠকে ডেকেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে ১০০ দিনের কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ইন্দিরা আবাস যোজনায় গরিবদের জন্য আবাসন নির্মাণ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজও আটকে যায়। ভোট মিটে যাওয়ায় রাজ্য সরকার চলতি মাসের মধ্যেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত গঠনের কাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না-করে নবগঠিত পঞ্চায়েতের হাত ধরে কাজে ফিরতে চায় সরকার। সেই জন্যই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সুব্রতবাবু বৃহস্পতিবার জানান। বিভিন্ন প্রকল্পের বকেয়া কাজ তো বটেই, চলতি আর্থিক বছরের জন্য বরাদ্দ অর্থও যাতে ঠিকমতো খরচ করা হয়, সেই বিষয়ে জেলাশাসাকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান পঞ্চায়েতমন্ত্রী। পঞ্চায়েতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের কাজ সেপ্টেম্বরে শুরু হবে বলে জানান সুব্রতবাবু।
এ দিন মহাকরণে পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানান, ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের পারিশ্রমিক এখন থেকে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যাবে। কেন্দ্র ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা অনেক আগেই বলেছে রাজ্যগুলিকে। তিনি জানান, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পারিশ্রমিক দেওয়া শুরু হয়েছিল কোচবিহার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এ বার তা চালু হচ্ছে গোটা রাজ্যে।
গত আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ১৮ কোটি শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছিল। খরচ হয়েছিল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের ৫৮ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার ওই প্রকল্পে যুক্ত। অনেক পরিবারের একাধিক সদস্যও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
তবে গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের কাজ নিয়ে চিন্তিত পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্যের ৮১টি ব্লকের পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণ রয়েছে। দূষণমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে রূপনারায়ণ নদের উপরে একটি পানীয় জল প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়াতেও জল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পরেই কাজ শুরু হবে। |