ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁদের বসতে হচ্ছে স্টিয়ারিংয়ে। বা গাড়ি নিয়ে অন-ডিউটি কাটাতে হচ্ছে নির্দেশ মতো। অথচ মিলছে না দৈনিক ভাতা। ন’মাস ধরে এই সমস্যা চলতে থাকায় কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারি পুল কারের চালকেরা। তাঁদের কাছে এখনও আশ্বাস-বার্তা পৌঁছয়নি। তবে সরকারি সূত্রে খবর, সমস্যার সমাধান হতে চলেছে অবশেষে।রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের অধীন পুল কার বিভাগের গাড়ি যাঁরা চালান, ছ’ঘণ্টার বেশি কাজ করলে তাঁদের ওই ভাতা প্রাপ্য হয়। সরকারি গাড়ির চালকেরা যাকে বলেন ‘টিফিন বিল’। গত ন’মাস ধরে একের পর এক বিল পাঠিয়েও টাকা পাননি চালকেরা। তাঁদের মধ্যে আছেন অনেক ভিআইপি গাড়ির সারথিরাও। মহাকরণে দরবার করেছেন তাঁদের অনেকে। গণ-দরখাস্ত পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁদের। ভুক্তভোগী এক সরকারি গাড়ির চালকের কথায়, “ডিউটি পড়লে কখনও ভোর চারটেয় গাড়ি নিয়ে বেরোতে হচ্ছে। কখনও রাত ১২টা পর্যন্ত ডিউটি চলছে। কিন্তু এত মাস ধরে বিল আসছে না।” এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অবশ্য বেতন পেয়েছেন। আটকে রয়েছে ভাতার বিলই। তবে পুল কার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে বলা হচ্ছে, ‘টেকনিক্যাল’ কারণেই চালকদের ভাতা আটকেছিল। এখন জট কেটেছে। পরিবহণ দফতরের যুগ্ম সচিব পীযূষকান্তি দত্ত বৃহস্পতিবার বলেন, “নির্দেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই ওঁরা ভাতা পেয়ে যাবেন।”
|
পুনর্নির্বাচনেও বর্ধমানে তাদের এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার হুগলি ও বর্ধমানে ৫৭টি বুথে ফের ভোট হয়। মেমারিতে মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁদের কর্মীদের উপরে হামলা চলছে বলে অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। বলেন, “বহিরাগতেরা বুথ দখল করেছে। নির্বাচন আধিকারিক আপত্তি করায় ব্যালট ছিনতাই করে তাঁকে মারধর করা হয়। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, এমন অভিযোগ পাননি। তৃণমূলও হামলার কথা মানেনি। কমিশন জানায়, মেমারির ৫৫টি বুথে ৬৬.৭৩ ও মন্তেশ্বরে একটি বুথে ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
|
বাংলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। নির্বাচন কমিশনের সচিব তাপস রায় বৃহস্পতিবার জানান, এ দিন রাজ্যপালের লেখা একটি চিঠি এসেছে তাঁদের দফতরে। ওই চিঠিতে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার কাজে সন্তোষ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের কাজেরও প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল। ভোট পরিচালনার জন্য কমিশনের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। কমিশন সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিশনের প্রশংসা করে রাজ্যপালের চিঠি পাঠানোর ঘটনা এই প্রথম। |