ব্যবসা সংক্রান্ত গোলমালের জেরেই যাদবপুরের ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গীকে অপহরণ করা হয় বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে লালবাজারের একটি দল অসমে গেলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অপহৃতদের বিষয়ে তেমন কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উজ্জ্বল মজুমদার ও জয় বিশ্বাস নামে ওই দুই ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক মার্কেটিং-এর সঙ্গে যুক্ত। জয় কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। সেখানেও তাদের ব্যবসা ছিল। এক গোয়েন্দা অফিসার জানান, এই ব্যবসায় প্রধান এজেন্টের অধীনে অন্তত ৩-৪ জন এজেন্ট ও তাদের অধীনে ৩-৪ জন করে সাব-এজেন্ট থাকে। প্রতি সাব-এজেন্টের অধীনে ৩-৪ জন সাব-এজেন্ট। এ ভাবেই বাড়ে ব্যবসা। লালবাজারের এক কর্তার কথায়, “অনেক সময়ই এই ধরনের ব্যবসায় গোলমাল হয়। এর পিছনেও তেমন কিছু আছে কি না দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পিছনে পেশাদার দুষ্কৃতীরা নেই বলে প্রাথমিক ভাবে মত গোয়েন্দাদের। পুলিশের সন্দেহ, ছোট মাপের দুষ্কৃতী দল বা ব্যবসায়িক শত্রুরা ওই দু’জনকে আটকে রেখেছে। উজ্জ্বল ও জয় অসমে আছেন বলে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে উজ্জ্বলের পরিবার। এ দিন তাঁর জামাইবাবু আনন্দ ধীবর বলেন, “পুলিশের উপরে ভরসা করে আছি।”
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধোলাহাট থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক ব্যবসায়ী মহম্মদ ইমরানকে উদ্ধার করল পুলিশ। অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন। পুলিশ জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে শ্রমিকদের চাকরি দিয়ে পাঠানোর এজেন্সি চালান তালতলা থানার বাসিন্দা ইমরান। আসমত আলি নামে দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা এক ব্যক্তির দাবি, কিছু শ্রমিকের পার্সপোট-ভিসার খরচ বাবদ ইমরানকে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা দেন তিনি। মাস ছয়েক কাটলেও কোনও ব্যবস্থা করেননি ইমরান। তাগাদা দিলেও টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। মাস তিনেক আগে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন আসমত। তার পর থেকেই ফেরার হন ইমরান। বুধবার তালতলা থানা এলাকা থেকে আসমত ও কয়েক জন ইমরানকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ বিষয়টি দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশকে জানায়। আসমতের মোবাইলের সূত্র ধরে তাঁদের হদিস মেলে। জেরায় আসমত জানায়, টাকা উদ্ধারের জন্যই ইমরানকে অপহরণ করা হয়। |