|
|
|
|
দিনভর ওঠা-পড়া অস্থির শেয়ার বাজারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রত্যাশা ছাপিয়ে যাওয়ার খবরে ভারতে প্রথমে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠলেও বৃহস্পতিবার লেনদেনের শেষে পতনই হল সূচকের। সেনসেক্স অবশ্য এ দিন নেমেছে খুব সামান্যই, মাত্র ২৮.৫১ পয়েন্ট। কিন্তু দিনভর তার ওঠা-পড়ায় ধরা পড়েছে চূড়ান্ত অস্থিরতা। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ১৯৩১৭.১৯ অঙ্কে। এই নিয়ে গত সাত দিনের লেনদেনে সূচকের মোট পতন হল ৯৮৬ অঙ্ক।
এ দিকে টাকার দামের পতন রুখতে আরও একটি পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখন থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে বৈদেশিক মুদ্রায় আগাম লেনদেন করতে হলে পার্টিসিপেটরি নোটের মালিকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এ দিন ডলারে টাকার দামে অবশ্য কিছুটা স্থিতাবস্থা বজায় ছিল।
এ দিন প্রথমে কিন্তু সেনসেক্স উঠে গিয়েছিল ২২৩ পয়েন্ট। আমেরিকার বৃদ্ধির সূচকের গতি উপরের দিকে ওঠার খবরই চাঙ্গা করে বিশ্ব বাজারকে। পাশাপাশি, দেশের শিল্পকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে মার্কিন সরকার বাজার থেকে বন্ড কেনা অব্যাহত রাখবে, এই আশ্বাসও শেয়ার বাজারের লগ্নিকারীদের অতিরিক্ত অক্সিজেন জোগাতে থাকে। আর এর জেরেই লেনদেনের প্রথম দিকে সূচক হু হু করে উপরের দিকে উঠে যায়।
কিন্তু পুরো ছবিটা পাল্টে যায় ভারতের শিল্প ও আর্থিক অবস্থা নিয়ে এইচএসবিসি এবং গোল্ডম্যান স্যাক্সের সমীক্ষার খবরে। এইচএসবিসি-র সমীক্ষার ইঙ্গিত, ভারতে শিল্প উৎপাদনের পরিস্থিতি বিপদসীমার সামান্য উপরে। সমীক্ষকদের বক্তব্য, শিল্প উৎপাদনের মাত্রা তাদের বিচারের মাপকাঠির ৫০ অঙ্কের নীচে নেমে এলে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে ধরা হয়। ভারতে ওই মাত্রা এখন ৫০.১ অঙ্কে। এর কারণ, নতুন লগ্নি বৃদ্ধিতে ঘাটতি। অন্য দিকে, গোল্ডম্যান স্যাক্সের সমীক্ষা ভারতকে ‘আন্ডারওয়েট’ শ্রেণিতে ফেলেছে। এর অর্থ, বর্তমানে আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ। কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্রগতির লক্ষণ রয়েছে।
|
এমসিএক্স, এফটিআইএলের শেয়ার দর নিয়ে উদ্বেগ
|
এ দিন এমসিএক্স এবং ফিনান্সিয়াল টেকনোলজিস ইন্ডিয়ার (এফটিআইএল) শেয়ার দর উদ্বেগজনক ভাবে পড়েছে। এফটিআইএলের শেয়ার দর পড়েছে ৬৫%। এমসিএক্সের ২০%। কেন হঠাৎ তাদের দর এতটা পড়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সেবি। সস্প্রতি কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ফরোয়ার্ড মার্কেটস কমিশনের (এফএমসি) নিয়ন্ত্রণে আসবে পণ্য লেনদেনের বাজার ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জ। ব্যবস্থাটি কার্যকর না-হওয়া পর্যন্ত ওই এক্সচেঞ্জে নতুন বরাত (কনট্রাক্ট) ছাড়া যাবে না। বেশ কিছু নতুন বরাত বাতিলও হয়েছে।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জ ও এমসিএক্স উভয়েরই প্রধান প্রোমোটার ফিনান্সিয়াল টেকনোলজিস। মূলত সেই কারণেই ওই দুই সংস্থার শেয়ার দর এ দিন পড়েছে। তবে এমসিএক্স স্টক এক্সিচেঞ্জের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরিন্দম সাহা জানান, তাঁদের শেয়ার বাজারে এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
|
|
|
|
|
|