এক বিজেপি কর্মীকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ এক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ির কড়িধ্যা হাটতলার ঘটনা। কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির অভিযোগ মানতে চায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ পেশায় চা ব্যবসায়ী সাগর সেন নামে বিজেপির ওই কর্মীকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডলের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্যই সাগর স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরাগভাজন হয়েছিল। ওই কারণেই ওঠে কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপুরপ্রধান, কংগ্রেসের বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য দলবল নিয়ে সাগরকে তুলে নিয়ে যান। সাগরের অবস্থা এখন সঙ্কটজনক।” |
বিজেপি কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে সিউড়ির কড়িধ্যায় পথ অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র। |
সাগরবাবুকে রড ও চেন দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে স্থানীয় বড়মুলো সরকারি খামারের কাছে ফেলে দেওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের একাংশ স্থানীয় একটি সরকারি খামারের কাছ থেকে সাগরবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিজেপি ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর থেকে সিউড়ির কড়িধ্যা মোড়ে অবরোধ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে তা তুলে দেয়। এ দিনই সিউড়ি থানায় বিদ্যুৎবাবু-সহ কয়েক জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।
গতবার কড়িধ্যা পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের। এ বার ওই পঞ্চায়েতের অবস্থা ত্রিশঙ্কু। তৃণমূল ও কংগ্রেস কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি পেয়েছে তিনটি আসন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অভিযোগ, ফল ঘোষণার পর থেকেই কংগ্রেস ও তৃণমূল বোর্ড গঠনে সমর্থন করার জন্য বিজেপির নির্বাচিত সদস্যদের টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছে। কিন্তু ওই তিন সদস্যকে তারা নিজেদের ফাঁদে ফেলতে পারেনি বলেই বিজেপির দাবি। এ দিনের ঘটনা তার জেরেই হয়েছে বলে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ।
এ দিকে কংগ্রেসের সিউড়ি ১ ব্লক সভাপতি অসীম মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “একেবারেই পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে এ দিনের ঘঠনাটি ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” একই দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর ধরও। |