একদিন দল বেঁধে ক’জনে মিলে |
এই ক’জন সবাই বন্ধু। বিশেষ ‘তার’ জন্য যেমন ভ্যালেনটাইন্স ডে।
এই রবিবার তেমনই বন্ধুদের। লিখছেন অরিজিৎ চক্রবর্তী |
১
সকাল শুরু পুলে |
না না, জলে নামতে বলছি না। ব্রেকফাস্ট সেরেই সাউথ সিটি চলে যান। ঢুকে পড়ুন গেমিং আর্কেডে। বাড়ির প্লে স্টেশনটায় তো ধুলো পড়ে গেছে! নানা কাজের চাপে ‘কল অব ডিউটি’ও অতীত। খেলাধুলো কখনও একা একা জমে নাকি! একসঙ্গে না খেললে আর মজা কোথায়? পুরনো গেমগুলোকে আর একবার ঝালিয়ে নিতে তাই বন্ধুদের সঙ্গে বসে পড়ুন গেম জোনের বাইকে বা নেমে পড়ুন কার রেসিংয়ে। রেসিংয়ের পর দল বেঁধে দু’রাউন্ড পুল বা স্নুকার্স খেলে নিন। সবাই মিলে জমিয়ে দিনটা শুরু করার এর থেকে ভাল ব্যবস্থা আর হতে পারে না।
|
২ ফুড কোর্টে পেটপুজো |
শুধু খেললেই তো হবে না। পেটপুজোটাও সারতে হবে। কোনও অসুবিধা নেই, ফুড কোর্ট তো আছে। খেলতে খেলতে খিদে পেলে বসে পড়ুন ফুড কোর্টে। লাঞ্চটা এখানেই সেরে নিন। বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরের খাওয়া খেতে ফ্যান্সি রেস্তোরাঁয় টেবল বুক করার চাপ নেই। কোক-বার্গার কী হ্যাম স্যান্ডউইচেই হয়ে যাবে লাঞ্চ। কিন্তু তা বলে ফ্রেন্ডশিপ ডে-র স্পেশাল মেনুটা দেখতে ভুলবেন না। সে দিনের জন্য সব রেস্তোরাঁই অনেক নতুন নতুন পদ তৈরি করছেন। ইন্টারনেটে একটু নজর রাখলেই তা দেখতে পাবেন। আর শেষ পাতে আইসক্রিম তো চাই। তবে আইসক্রিমের টাকা বাঁচাতে চাইলে গ্রুপ অন থেকে এখনই কুপন কিনে রাখতে পারেন।
|
|
৩
সিনেমা + রোলার কোস্টার |
ফ্রেন্ডশিপ ডে-র আর একটা সুবিধা, সিনেমা দেখতে হলে মাথার চুল ছিঁড়তে হবে না। ‘তার’ পছন্দ মাথায় রেখে সিনেমার টিকিট বুক করতে হবে না। যে কোনও মুভিই দেখা যেতে পারে বন্ধুদের সঙ্গে। সে ‘দ্য উলভরিন’ হোক কী ‘প্যাসিফিক রিম’। ভাল হোক কী ফালতু, বন্ধুরা থাকলে দিব্যি কেটে যাবে সময়টা। ছবিটা ভাল হলে তার প্রশংসা করে। আর খারাপ লাগলে ছবি করিয়ের মুণ্ডুপাত করে। আর একটা কাজও করতে পারেন।
সেভেন ডি থিয়েটারেও ঢুকে পড়তে পারেন। সিনেমা আর রোলার কোস্টারের মজা একসঙ্গেই উপভোগ করে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও আগে থেকে টিকিট কেটে রাখবেন।
রবিবার গিয়ে আটটা টিকিট চাইলে কিন্তু না-ও পেতে পারেন।
|
৪
স্রেফ হইচই |
সিনেমা দেখে বেরোতে বেরোতে দেখবেন বিকেল হয়ে গেছে। ব্যস্, দল বেঁধে ঢুকে পড়ুন নিক্কোপার্কের মতো কোনও আউটডোর পার্কে। বিকেলটা স্রেফ হইচই করে কাটিয়ে দিন। রোলার কোস্টার-মার্স রাইডে ক্লান্ত হয়ে
পড়লে ঢুঁ মারুন ওয়াটার পার্কে। ওয়াটার স্লাইডের মজা নেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে ঝারিও মেরে নিন। চোখ রাঙানোর লোক তো আর এখন সঙ্গে নেই। দেখতে দেখতে বিকেলটাও কেটে যাবে।
|
|
৫
বোলিং লনে পিৎজা |
সন্ধে নামতে নামতেই দেখবেন পেটে ছুঁচোয় ডন দেওয়া শুরু করবে। কোনও অসুবিধা নেই। সটান ঢুকে পড়ুন পাশের বোলিং ক্লাবে। বন্ধুরা মিলে বোলিং করাও যাবে। আবার কোক-পিৎজা দিয়ে সন্ধের স্ন্যাকস্টাও হয়ে যাবে। বন্ধুদের নিয়ে হাসাহাসি করলে কেউ কিছু মনে করবে না। তাই কেউ বোলিং অ্যালেতে পিছলে গেলে
তার পিছনে লাগতে ছাড়বেন না। বোলিংয়ে যে হারবে সে-ই না হয় পিৎজার দাম মেটাবে।
|
৬ মন(খারাপ)ভাল-র পার্টি |
ফ্রেন্ডশিপ ডে-র পরের দিনই তো আবার সেই অফিস বা কলেজ। তাই মনডে ব্লুজ কাটাতে ফ্রেন্ডশিপ ডে পার্টির হ্যাংওভার মাস্ট। শহরে হাজারো পার্টি সে দিন। চোখ-কান আর ফেসবুক খোলা রাখলে তার হদিস পেতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। একেবারে যদি কোনও পার্টির আমন্ত্রণ না-পান, তবে মনখারাপ করবেন না, ইন্টারনেট তো আছে। একবার সার্চ করলে নাইট ক্লাবে অনেক পার্টির সন্ধান পেয়ে যাবেন। তবে নাইট ক্লাবে পার্টির একটা অসুবিধা হল, কোন ডিস্কে যাবেন সেটা ঠিক করতেই রাত পার হয়ে যাবে। কারওর পছন্দ হাউজ মিউজিক, তো কারওর পছন্দ হিপ হপ। সেটা ঠিক করতে পারলে তো ভালই। না হলে বাড়িতেই পার্টির বন্দোবস্ত করুন। পার্টিতে কোন কোন গান বাজবে সেই প্লে লিস্টটা আজই বন্ধুদের হোয়াটস্অ্যাপ করে দিন। প্লে লিস্টে যা পরিবর্তন কালকের মধ্যে সেরে নিন।
|
ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও
শাহরুখ-সলমনের বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে আগেই। এই রবিবার এঁদের দোস্তি হলে কেমন হয়! |
অমর্ত্য সেন |
জগদীশ ভগবতী |
|
এন শ্রীনিবাসন |
শরদ পওয়ার |
|
সুমন মুখোপাধ্যায় |
ব্রাত্য বসু |
|
রুদ্রনীল ঘোষ |
সুদীপ্তা চক্রবর্তী |
|
|
|