|
|
|
|
আমার প্রাণের পরে
চলে গেল কে |
চলে গিয়েও ফিরে আসছেন রবীন্দ্রনাথ আর কাদম্বরী! নতুন বাংলা ফিল্মে। পরিচালনায় সুমন ঘোষ। লিখছেন
ইন্দ্রনীল রায় |
‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে? বসনের বাতাসটুকুর মতো... সে যে চলে গেল বলে গেল না...’ নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবীর প্রয়াণের পর বেদনা ভারাক্রান্ত, অস্থির রবীন্দ্রনাথ সব ব্যথা উজার করে দিয়ে এক দিন গেয়ে উঠেছিলেন এই গান। নয়নের সম্মুখ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই চিরসঙ্গিনী যে সত্যিই কোনও একদিন ছবি হয়ে ফিরে আসবে তা তিনি যদি জানতেন!
কাদম্বরী দেবী ও রবীন্দ্রনাথ।
বহুচর্চিত এই সম্পর্ক নিয়েই পরিচালক সুমন ঘোষ তাঁর পরের ছবি শুরু করতে চলেছেন। ছবির নাম ‘কাদম্বরী’। শুটিং শুরু সেপ্টেম্বরে। কাদম্বরী দেবীর চরিত্রে কঙ্কনা সেনশর্মা এবং রবীন্দ্রনাথের চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
“‘কাদম্বরী’ ছবিটা যখন প্ল্যান করেছিলাম তখন আমার মাথায় ছিল ওরা দু’জনেই কঙ্কনা এবং পরম। ওদের দু’জনের মধ্যে কেউ রাজি না হলে আমি এই ছবিটাই করতাম না,” বলছিলেন সুমন। মেয়ে কঙ্কণা যে কাদম্বরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তাতে খুশি অপর্ণা সেনও। “দেখুন, ‘কাদম্বরী’ এক জন আইকনিক চরিত্র। আমি সুমনের স্ক্রিপ্টটা যদিও পড়িনি, তবে কঙ্কণা যে এই চরিত্রে অভিনয় করছে তাতে আমি খুশি,” বললেন অপর্ণা সেন।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
কাদম্বরী দেবী |
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় |
কঙ্কনা সেনশর্মা |
|
প্রসঙ্গত, মায়ামির ফ্লোরিডা অ্যাটলান্টিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, সুমনের আগের ছবির বিষয় ছিল রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরি। সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটেই তিনি বানিয়েছিলেন ‘নোবেল চোর’।
“হ্যাঁ, আমার আগের ছবিটা নোবেল চুরিকে কেন্দ্র করে একটা সোশাল স্যাটায়ার ছিল। এ বারেও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ছবি কিন্তু এটা একেবারেই প্ল্যানড না,” বলেন পরিচালক। কথায় কথায় তাঁর কাছে থেকে জানা গেল এই ছবির জন্য তিনি মূলত দু’টি বই থেকে রেফারেন্স নিয়েছেন। “মেন যে দু’টো বই থেকে গল্পটা ডেভেলপ করা হয়েছে সে দু’টো হল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘প্রথম আলো’ আর রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট’।”
এ রকম স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ছবি করতে গিয়ে কি কোনও চাপ অনুভব করছেন?
“দেখুন প্রেশারের থেকেও বেশি যেটা লাগছে সেটা হল দায়িত্ব। রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী দেবীর সম্পর্ক নিয়ে সিনেমা করা ইজ হিউজ রেসপন্সিবিলিটি। পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি থাকুক না কেন, এই
একটা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবেই,” বলেন তিনি।
ছবির সঙ্গীত পরিচালক বিক্রম ঘোষ এবং ছবির ক্যামেরাম্যান বরুণ মুখোপাধ্যায়। প্রযোজনা করছে ভিগনেশ ফিল্মস।
রবীন্দ্রনাথ-নতুন বৌঠানের সুখ দুঃখের অব্যক্ত রঙে রাঙানো দিনগুলো নিয়ে এ ছবি দেখার জন্য বাঙালি প্রতীক্ষায় থাকবে বলেই মনে হয়।
|
কঙ্কনা এবং পরম। ওদের দু’জনের মধ্যে কেউ
রাজি না হলে আমি এই ছবিটাই করতাম না
সুমন ঘোষ |
|
|
|
|
|
|