পঁচিশের দশে দশ |
বয়স কত? ২৫? তা হলে মিলিয়ে নিন এই দশটি জিনিস আপনার
জীবনের ‘মাস্ট ডু’ লিস্টে রয়েছে তো! লিখছেন অদিতি ঘোষ
|
১
চলো যাই ঘুরে... |
চাকরির তো হল বেশ কয়েক দিন। এ বার ছোট্ট একটা ব্রেক দরকার। পাসপোর্টে একটা ভিসার ছাপ দিয়ে নিন চটজলদি। ব্যাংকক-পাটায়া ট্রিপ ৩০ হাজার। তাইল্যান্ড-ফুকেত ৩৫। পকেটকে খুব বেশি চাপ না দিয়েই ফেসবুকের প্রোফাইলে পাটায়া বিচের জলকেলির ছবি আপলোড না করলে তো জীবনটাই বৃথা!
|
২
পার্টনার = মস্তি |
পঁচিশ বছরেই নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে ছাঁদনাতলায় বসতে নারাজ এই প্রজন্ম। তার চেয়ে বরং একটি ছিপছিপে গার্লফ্রেন্ড বা ম্যাচো বয়ফ্রেন্ড পাশে থাকলে সেটা ইমেজের পক্ষে ভাল, আর চোখের পক্ষেও। এই বয়সিরা তাই চাইছেন পার্মানেন্ট হোক বা টেম্পোরারি, পাশে একজন পার্টনার থাকা মাস্ট।
|
৩
ট্যাবে টুকটাক |
যুগটাই টেকনোলজির, সেখানে হাতে একটা ট্যাব থাকবে না তা আবার হয় নাকি! বিশাল একটা ট্যাব, যা হাতে নিলে হাতটাকে নিতান্ত ছোট মনে হবে আর কানে নিলে পাশ থেকে কেউ আপনাকে দেখলে হারগিস চিনতে পারবে না (মুখ ঢেকে যায় ট্যাবে!), সে রকম একটা যন্ত্র হাতে থাকলে তবেই খুশি জেন ওয়াই।
|
|
৪
পার্টি করিব নাচিব সুখে |
হোয়ার’স দ্য পার্টি টুনাইট? উত্তরটা ডান্স ফ্লোর হলে ভাল। না হলেও কুছ পরোয়া নেহি। বন্ধুর বাড়ি ফাঁকা? মা-বাবা বাইরে? গত প্রজন্ম হলে এ অবস্থায় বড়জোর জমিয়ে বসে বৈঠকী আড্ডা দিতেন। কিন্তু এখন? আড্ডা এখন পার্টিতে পরিণত। সাজপোশাকে ঝকঝকে, গ্লাসে ওয়াইন, হালকা-পুলকা স্ন্যাক্স, জিম-চর্চিত শরীর, সঙ্গে শাকিরার লেটেস্ট অ্যালবামের তালে তালে ছন্দ মেলানো। এর চেয়ে ভাল স্ট্রেসবাস্টার আর কিছু আছে এ দুনিয়ায়?
|
৫
উইকএন্ড স্পেশাল |
সারা সপ্তাহ জুড়ে কাজ আর কাজ। পাঁচ দিন অপেক্ষা করলে তবে একটা উইকএন্ড আসে। সেই দু’দিন কি হেলায় হারানো যায়! একটা গাড়ি করে বেরিয়ে পড়ুন লং ড্রাইভে। গাড়িতে ওঠার আগে সঙ্গে কিছু বিয়ার ক্যান আর চিপস নিতে ভুলবেন না। ছোটখাটো একটা কার পার্টি হলে জমবে ভাল। শিগগির করুন। আড়মোড়া ভাঙা সোমবার কিন্তু আপনারই অপেক্ষায়।
|
৬
বাপ রে কী স্মার্ট ফোন |
আমাদের জীবন এখন সবজান্তা গামছাওয়ালাদের দখলে, মানে, হাতের ওই স্মার্ট ফোনটি। কী না পারে ওই পুচকে যন্ত্রটি! গুগল ম্যাপ থেকে হোয়াটস অ্যাপ সবেতেই তিনি। আর দাম দেখে ভয় পাওয়ারও দিন শেষ। ইএমআই আছে কী করতে? ইএমআই-য়ের দৌলতে আই ফোন থেকে স্যামসং এস ফোর সবই এখন হাতের মুঠোয়। এ হেন একটি টয়-ফ্রেন্ডকে ছাড়া কী চলে!
|
|
৭
সন্ধ্যাবেলার নিয়ন আলোয় |
জেন ওয়াইয়ের নতুন প্যাশন ব্লাইন্ড ডেট! চিনি না জানি না, আলগা আবেশে হালকা চেনা... আসলে না-দেখা ডেট-এর সঙ্গে কফি শপের নরম নিয়ন আলোয় প্রথম বার দেখা হওয়ার আমেজটাই তো এক্কেবারে আলাদা।
|
৮
দু’মিনিট লাগে ঠিক |
ফাস্ট ফুড কয় যাহারে। ভাত, ডাল, চচ্চড়ি? ধুর! আমরা তো এখন পিৎজা, বার্গারের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছি। বাড়ির ইলিশ ভাপে, চিংড়ি মালাইকারির সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে ফায়ারি গ্রিলড্ চিকেন। এ ছাড়া শপিং মলে ফুডকোর্ট তো রয়েইছে। আড্ডা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনও চাইনিজ কখনও তন্দুরি, সঙ্গে স্মুদিজ আর আইসক্রিম তো আছেই। আর চিন্তা নেই, এটিএম মেশিনও মলের ভিতরে। মোটমাট ফাস্ট ফুড বিনা ফাস্ট লাইফ সুনা সুনা...
|
৯
ডাকছে পাহাড় |
তেনজিং-হিলারির এভারেস্ট জয়ের ষাট বছর হয়ে গেল। পাহাড় নিয়ে পাগলামি আজও কিন্তু বেড়ে চলেছে চড়চড় করে। ছুটিতে বন্ধুবান্ধব মিলে পিঠে রুকস্যাক চাপিয়ে দিব্যি পাড়ি দিচ্ছেন ট্রেকিংয়ের টানে। তবে ব্যাগ গোছানোর আগে ট্রেকিং-স্পেশাল কেনাকাটাটা সেরে ফেলুন। সঙ্গে নেট সার্ফ করে চটপট জেনে নিতে হবে ট্রেকিংয়ের সাত সতেরো। অ্যারোবিক এক্সারসাইজ থেকে স্ট্রেংথ ট্রেনিং ট্রেকিংয়ে যেতে হলে এ সব সম্পর্কে ধারণা থাকাটাও জরুরি।
|
১০
সে চিজ |
বিয়েবাড়ি হোক বা দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল। নিতান্ত সিসিডি, কেএফসি গেলেও রক্ষে নেই। কানের কাছে ‘খচাস খচাস’ ঠিক শুনতে পাবেন। চার দিকে মোবাইল ক্যামেরাধারী ফোটোগ্রাফাররা ঘুরে বেড়াচ্ছেন যে! পেশাদার টোগ্রাফাররাও গোটা জীবনে এত ছবি তুলেছেন কিনা সন্দেহ! এই প্রজন্ম ২৫ বছরেই তাঁদের সেই সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছেন। আসলে অতর্কিতে নানা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে মোবাইল ক্যামেরাটির কোনও জুড়ি নেই। |
|