বামফ্রন্টের দুর্গের পতন হলেও তুলনায় কংগ্রেস তার মাটি অনেকটা ধরে রাখতে পারল পুরুলিয়ায়। সৌজন্যে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। কার্যত তিনিই নিজের তালুক বাঘমুণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেলা পরিষদের চার কংগ্রেস প্রার্থীকে জিতিয়ে আনলেন। আর তা হয়েছে কংগ্রেসের ওই বর্ষীয়ান নেতার ব্যক্তিগত ক্যারিশমায়। এমনটাই মনে করছেন জেলা রাজনীতির ওয়াকিবহাল মহল। ২০০৮ সালে পুরুলিয়ায় জেলা পরিষদের ৫টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। সে বার জয়পুর, ঝালদা ২ ও পুরুলিয়া ১ ব্লক থেকে ওই পাঁচটি আসন তারা পায়। এ বার সেই সব এলাকা হারিয়ে নেপালবাবুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন বাঘমুণ্ডি ও ঝালদা ১ ব্লক থেকে কংগ্রেস ওই চারটি আসন দখল করেছে। কার্যত এ জন্য ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকে নেপালবাবু নিজের এলাকার মাটি আঁকড়ে ছিলেন। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকাতেও তিনি প্রচারে গিয়েছেন। নেপালবাবুর সাফল্য জেলার কংগ্রেস কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। বাঘমুণ্ডি ছাড়া জেলায় কংগ্রেসের অন্য বিধায়ক রয়েছেন পাড়ায়। সেখানে অবশ্য কংগ্রেসের প্রার্থীরা জেলা পরিষদের ৩০ ও ৩২ নম্বর আসনে জিততে পারেননি। কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে ভোট কাটাকাটির জেরে ওই দু’টি আসনে জয়ী বামেরা। ঝালদা ২ ব্লকের ১৮ নম্বর আসনে বামপ্রার্থী মাত্র ১২২ ভোটে জিতেছেন। অথচ কংগ্রেসের প্রার্থী ন’হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। এই তিনটি আসনের পরাজয় সম্পর্কে জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর বক্তব্য, “কংগ্রেস এখানে নিজের নাক কেটে তৃণমূলের জয় আটকেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে নেপালবাবুর বক্তব্য, “বাঘমুণ্ডিতে তৃণমূলের জোট ছাড়াই আমরা ভোট বাড়িয়ে নিতে সমর্থ হয়েছি। তবে, পাড়া এক সময় সিপিএমের দুর্গ ছিল। সেখানেও আমাদের সংগঠন বেড়েছে। ভোটও পেয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থীরা।” |