মুর্শিদাবাদ জেলার ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড গঠনের প্রয়োজনে ‘ঘোড়া’ কেনাবেচার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলের কোনও নেতাই অবশ্য সরাসরি ব্যাপারটা মানতে চাইছেন না। তবে কোন দল কতটা পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে সেই হিসাব দিতে গিয়ে ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে অনেকগুলিই নিজেদের দখলে রয়েছে বলে দাবি করে ‘ঘোড়া’ কেনাবেচার তত্ত্বকেই পরোক্ষ সমর্থন করেছেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুসারে মুর্শিদাবাদ জেলায় ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা ৬টি। সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য়ের হিসাবে অবশ্য সংখ্যাটা ৫। তিনি জানান, বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড তাঁরাই গড়বেন॥
সংখ্যা গরিষ্ঠতার বিচারে ৩৩ আসনের সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে প্রয়োজন অন্তত ১৭টি আসন। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল পেয়েছে ১৬টি আসন। বাকি ১৭টির মধ্যে সিপিএম ৮ এবং কংগ্রেস ৯। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেলেও মুগাঙ্কবাবুর মতো এ ক্ষেত্রে মন্ত্রী সুব্রতবাবুর দাবি, “সাগরদিঘিতে আমরাই বোর্ড গড়ব। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড গঠনে আমরা কাউকে সমর্থন করব না, কারও সমর্থনও আমরা নেব না। আমরা নিজেদের শক্তিতেই বোর্ড দখলের লড়াই চালাব।” অন্য দিকে তৃণমূলের সমর্থন পেলে ত্রিশঙ্কু ৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৫টিতে কংগ্রেস বোর্ড দখল করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা কি হবে? জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আমরা এখন নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচন করছি। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড গঠনের বিষয়ে আপাতত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের কংগ্রেস কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনা করে ওই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |