যাবতীয় বাধা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই শহরে পা দিচ্ছেন জেমস মোগা। বিমানবন্দর থেকেই সোজা নেতাজি ইন্ডোরে ইস্টবেঙ্গল দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে গিয়ে উঠবেন তিনি। সেখানেই তাঁকে পরিয়ে দেওয়া হবে চলতি মরসুমের পনেরো নম্বর লাল-হলুদ জার্সি। শুধু মোগাই নয়। মঞ্চে জার্সি দেওয়া হবে চলতি মরসুমের নতুন ফুটবলারদেরও। যেমন সুয়োকা পাচ্ছেন এগারো নম্বর জার্সি। জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস পাচ্ছেন সতেরো নম্বর। ইস্টবেঙ্গল দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার থেকেই সরগরম লাল-হলুদ তাঁবু। আলোর মালায় সেজেছে ক্লাব। সঙ্গে সানাইয়ের মূর্ছনা। উৎসবের পরিবেশ ইস্টবেঙ্গলে। ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, “সদস্য, সমর্থক, বর্তমান এবং প্রাক্তন ফুটবলার-সহ সকলের প্রবেশ অবাধ এই উৎসবে।” বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর উপস্থিতিতে সূচনা হবে ইস্টবেঙ্গল দিবসের। পতাকা উত্তোলনের পর উদ্বোধন হবে তাঁবুর স্বয়ংক্রিয় লাল-হলুদ প্রবেশদ্বারের। যা ময়দানে প্রথম ব্যবহার হতে চলেছে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সম্মান প্রদান এবং সাংস্কৃতিক উৎসব নেতাজি ইন্ডোরে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশিত হবে ক্লাবের রেকর্ড ও ইতিহাস-সহ স্মারক পুস্তিকা। সেখানেই ভারত গৌরব সম্মান পাবেন অলিম্পিয়ান অরুণ ঘোষ। ১৯৬০ থেকে তিন মরসুম ইস্টবেঙ্গলে খেলা এই প্রাক্তন ফুটবলার বুধবার রাতেই আবেগমথিত। বললেন, “চাকরির জন্য ইস্টবেঙ্গল ছাড়তে হয়েছিল। ওই ক্লাবে খেলেই অলিম্পিকে গিয়েছি। আমেদ খান, লেসলি ক্লডিয়াসদের সঙ্গে এক সরণিতে ঢুকে পড়লাম সেই ইস্টবেঙ্গলের বদান্যতায়। এই সম্মানের গুরুত্বই আলাদা।” লাল-হলুদ জার্সি গায়ে সারা জীবনের অবদানের জন্য সম্মানিত হবেন ছয় ও সাতের দশকের দুই লাল-হলুদ সৈনিক গোলকিপার অবনী বসু এবং সমরেশ চৌধুরীও। বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাবেন সৌমিক দে। |