কলকাতার আর জি কর রোডের উপরে ১০ কাঠা জমি। মালিক ‘কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’। জমিটি লিজ দেওয়া আছে। সেখানে বিশাল বহুতল। একতলায় প্রচুর দোকান। ভাড়া তিন মাসে ১৪০ টাকা। বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। লিজ ছিল ৭৫ বছরের। তা শেষ হয় ১৯৯০ সালে। তার পরে আর নতুন লিজ হয়নি। তাই ওই ভাড়াও পাচ্ছে না কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি)। ট্রাস্ট-কর্তৃপক্ষ জানতেনই না বিষয়টি। তাই মামলাও হয়নি। ঘটনাটি হাইকোর্টে যায় ওই জমির উত্তরাধিকারের মামলা কেন্দ্র করে। জমির ভাগ নিয়ে মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে পড়ে ১৪০ টাকা ভাড়ার বিষয়টি। তিনিই এ বিষয়ে জানতে চান কেআইটি-র আইনজীবী এস এম হাসানের কাছে।
বিচারপতির নির্দেশ পেয়ে জমির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করে কেআইটি। সন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ট্রাস্টের সম্পত্তির প্রতি এই উদাসীনতার কাহিনি। ইংরেজ আমলে ১৯১৫ সালে কিশোরীমোহন, মনমোহন ও নলিনীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ১০ কাঠা জমি ৭৫ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। চুক্তিতে বলা হয় লিজ-গ্রহীতারা সরকারকে তিন মাসে এক বার ১৪০ টাকা ভাড়া হিসাবে দেবেন।
সেই জমিতে গড়ে ওঠা বহুতলে রয়েছে আবাসন, অফিস, অনেক দোকান। মূল লিজ-গ্রহীতারা প্রয়াত। তাঁদের উত্তরাধিকারীরা জমির লিজ ভোগ করছেন। এখন তৃতীয় প্রজন্ম। ’৯০ সালে লিজের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ট্রাস্টের ঘুম ভাঙেনি।
ট্রাস্টের আইনজীবী এস এম হাসান জানান, কেআইটি বর্তমান উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে নতুন লিজের ব্যবস্থা করে। ঠিক হয়, ’৯০ থেকে ৩০ বছরের জন্য জমিটি উত্তরাধিকারীদের লিজ দেওয়া হবে। ২০২০ সালে ট্রাস্ট নতুন দরে লিজ চুক্তি করবে। বর্তমান লিজের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০তে। ১৯৯০ সাল থেকে না করা লিজ চুক্তি যা ২০১৩ সালে করা হচ্ছে, তার জন্য বর্তমান লিজ-গ্রহিতাদের ট্রাস্টকে ২২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে। |