সিপিএম ৪, তৃণমূল ৪। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর খয়রাশোল পঞ্চায়েতের ফলাফল ছিল সমান সমান। ফলে কোন দল পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করবে সেটা নিয়ে সংশয় ছিল।
বুধবার সিপিএমের প্রতীকে জেতা চার জন নির্বাচিত সদস্য তাঁদের দলে যোগ দেওয়ায় সমীকরণ সহজ হল বলে দাবি করেছেন খয়রাশোল ব্লকের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আশোক ঘোষ। তাঁর দাবি, “ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা এ বারও সিপিএমের প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য ভূপেন ঘোষের নেতৃত্বে দলবদল করেছেন সিপিএমের ওই নির্বাচিত সদস্যরা। ওঁরা হলেন লাউবেড়িয়া সংসদের স্বপন বাউড়ি, ময়নাডাল সংসদের ভৈরব চট্টোপাধ্যায় এবং পানসিউড়ি সংসদের পম্পা ভট্টাচার্য।” পম্পাদেবী এবং ভৈরববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও ভূপেনবাবু ও স্বপনবাবু ওই তৃণমূল নেতার দাবি মেনে নিয়েছেন। তবে উভয়ই বলেন, “লিখিত ভাবে সিপিএমকে একথা যেমন জানানো হয়নি, তেমনি তৃণমূলে যোগদানের কথা মৌখিক ভাবেই হয়েছে।” কেন দল ছাড়লেন? তৃণমূলে যদি যোগ দেওয়ারই ছিল, তা হলে কেনই বা সিপিএমের প্রতীকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়লেন? ভূপেনবাবুর যুক্তি, “মানুষের কাছে উন্নয়ন সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনের ফল দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” একই মত স্বপনবাবুরও।
এ ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এমনটা হয়ে থাকলে, তা সুবিধাবাদ, অসৎ এবং মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করা ছাড়া কিছুই নয়।” অন্য দিকে, এই দলবদল নিয়ে তৃণমূলের খয়রাশোল ব্লক সভাপতি আশোক মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে নিয়ে এল। এই দলবদল মোটেই প্রথা মেনে এবং দলীয় নির্দেশ মেনে হয়নি। বিষয়টি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডেলেরও গোচরে নেই। এটা সম্পূর্ণ আশেক ঘোষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।” যদিও বিতর্ক না বাড়িয়ে আশোক ঘোষ বলেন, “কে কী বলল তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে দলের যাতে ভাল হয় সেই কাজটিই করছি।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডলও বলেন, “যে কেউ দলে আসতেই পারেন। তবে তার একটা নিয়ম আছে। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে জেনে তার পর বলব।”
|
জেলাপরিষদের ফল |
সিউড়ি ১
জয়ী চন্দ্রাবতী মণ্ডল (সিপিএম)। ব্যবধান ১৯৯। পরাজিত বাসন্তী মণ্ডল (তৃণমূল)। (গতবার তৃণমূল)। |
|
মহম্মদবাজার
জয়ী প্রমিলা মাড্ডি (সিপিএম)। ব্যবধান ২৬০। পরাজিত প্রভাসিনী মুর্মু (তৃণমূল)। (গতবার সিপিএম)।
জয়ী শ্যামল বাগদি (তৃণমূল)। ব্যবধান ৪৩৭। পরাজিত সুনীল রায় (ফব)। (গতবার ফব)। |
|