টুকরো খবর
জন্মদিনেই ছাত্র নেতার দেহ উদ্ধার বনগাঁয়
জন্মদিনেই উদ্ধার হল তৃণমূলের ছাত্র নেতার দেহ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বনগাঁর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা
সৌম্য বিশ্বাস।
— নিজস্ব চিত্র।
সৌম্য বিশ্বাস (২১) ওরফে বেচা নামে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা কাছেই পোড়ারবাগানে। দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূলের ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৌম্য।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এলাকার মানুষের দাবি, সন্ধ্যাবেলায় গুলির শব্দ পেয়েছিলেন তাঁরা। সৌম্যর পরিবার সূত্রের খবর, সোমবার ছিল তাঁর জন্মদিন। অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যান তিনি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ফের বেরোন। রাতে পোড়ারবাগান এলাকায় ট্রাকের পিছনে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করেছে।

স্কুলের নথিপত্র তছনছ
তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে নথিপত্র ছিঁড়ে, পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। নষ্ট করা হল কম্পিউটার। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার বলাগড় থানার গুপ্তিপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধান শিক্ষিকার ঘর, কম্পিউটার রুমে ঢুকে নথিপত্র তছনছ করা হয়। অনেক নথি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কম্পিউটারের তার ছিঁড়ে ফেলা হয়। বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সম্পাদক প্রসেনজিৎ মণ্ডল বলেন, “কে বা কারা এমন করল, বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।” পুলিশ জানিয়েছে, কেন শুধু নথিপত্র নষ্ট করা হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে স্কুলের পরিচিত কেউ যুক্ত কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
বিদ্যুতের তার হাতে পেঁচিয়ে স্ত্রীকে খুনের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম কোর্ট) অরূপ বসু পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সাহিদকে এই সাজা শোনান। আদালতে দাঁড়িয়ে বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই দম্পতির নাবালিকা মেয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১২ সালের ১৩ মে রাতে স্ত্রী রেজিনা বিবি এবং তিন ছেলেমেয়েকে ঠাণ্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খেতে দেয় দেয় সাহিদ। চার জনেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তারপরই স্ত্রীর হাতে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে দেয় সাহিদ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী সুব্রত গুছাইত জানান, দম্পতির বড় মেয়ে প্রথমে পুলিশকে এবং পরে আদালতকে বলেন, আচ্ছন্ন অবস্থাতেই গোটা ঘটনা সে দেখেছে। বাধা দিতে পারেনি। তথ্য-প্রমাণ এবং সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সোমবার সাহিদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে তার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.