বোনকে কটূক্তি করছিল কয়েক জন যুবক। তাই দেখে প্রতিবাদ করায় দাদাকে লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে ওই ইভটিজাররা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি শহরে। চার জনের জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও পুলিশ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মাদ্রাসা রোড ধরে সাইকেলে করে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। পিছনে অন্য একটি সাইকেলে ছিলেন ওই ছাত্রীর দাদা। অভিযোগ, ওই সময় ৫-৬ জন যুবক ওই ছাত্রীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে। প্রতিবাদ করায় সিউড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের উপরে তারা চড়াও হয়। গোলমালের খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হওয়ায় ইভটিজাররা পালিয়ে যায়। তবে পালানোর সময় তারা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। সেই হুমকির বহিপ্রকাশ ঘটে রাত ৮টা নাগাদ। জিম করে ফেরার সময়ে ওই ছাত্রকে একা পেয়ে ইভটিজাররা মারধর করে। বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, “শহরের মধ্যে দিনের বেলায় এমন ঘটনা ভাবা যায় না। ছেলেকে ওরা লাঠি, রড দিয়ে মারধর করেছে। স্থানীয় সহায়তায় ছেলেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।”
এর আগেও সিউড়িতে বেশ কয়েকটি ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডল, গৃহবধূ সাথী রায়রা বলেন, “সিউড়ি শহর এমন ছিল না। এই শহরের সংস্কৃতি ও নাটক নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব, এই সব ইভটিজারদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
পুলিশ জানায়, রিপণ চোধুরী, শেখ রাজীব, শনু, বিট্টুর নামে অভিযোগ রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।
|
যুবককে গুলি করে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
বাড়ির বারান্দায় ঘুমের মধ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন যুবক। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোল থানা এলাকার ইদিলপুর গ্রামে। মৃতের নাম শেখ সেনামুল (৩২)। সোমবার বিকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে ওই যুবকের পরিবারের তরফে নির্দিষ্ট অভিযোগ না হলেও পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নিহতের স্ত্রী গুলবাহার বিবি সোমবার বলেন, “গুলি করার পর স্বামীই আমাকে ডেকে বলে গুলি করে দিল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জ্ঞান হারান। উঠতে দেখি জনা তিনেক লোক পালিয়ে গেল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। |