পণের রঙিন টিভি মেয়ের বিয়ের একব ছর পরেও দিয়ে উঠতে পারেননি রিকশা চালক বাবা মণি মাহালি। এর জেরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার প্রাণসাগর এলাকার ঘটনা। রাতেই অগ্নিদগ্ধ ওই বধূ মাম্পি মাহালিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জিৎ কিস্কুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার বালুরঘাট থানার পুলিশ এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই বধূর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছে।
পুলিশ জানায়, গত বছর সঞ্জিত কিস্কুর সঙ্গে বুনিয়াদপুরের বাসিন্দা মাম্পির বিয়ে হয়। মণিবাবুর অভিযোগ, “বিয়ের সময় পণের অন্য জিনিস দেওয়া হলেও রঙিন টিভিটা দিতে পারিনি। ওই দাবিতেই মেয়ের উপর অত্যাচার হত। ওই রাতে সকলে মিলে আমার মেয়েকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।” তিনি থানায় জামাই সঞ্জিত সহ মেয়ের শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিবার বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাম্পিদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার ১০ মাসের একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জিত পুলিশকে জানিয়েছেন, বাচ্চার দুধ গরম করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর গায়ে আগুন লেগে যায়। অভিযোগ মিথ্যা। এ দিন গঙ্গারামপুরের এসডিপিও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অগ্নিদগ্ধ বধূর বাবার অভিযোগক্রমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে।” |