পুলিশের ‘লাঠি’, অবরোধে ছাত্র পরিষদ
হাসপাতালে ভর্তি সংগঠনের এক সদস্যকে দেখতে গেলে পুলিশ অন্যায় ভাবে তাদের উপর লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলল ছাত্র পরিষদ। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। অভিযোগ, পাঁচ জন পুলিশ কর্মী তাদের ঢুকতে বাধা দিয়ে লাঠি চালিয়েছে। তাদের একাংশ মদ্যপ অবস্থাতে ছিলেন। পরে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ১৫ মিনিট পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ছাত্র পরিষদের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে ছাত্র পরিষদের অন্তত ৭ জন জখম হন। হাসপাতালেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাকরা হয়। সোমবার সকালের মধ্যে দোষী পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে ছাত্র পরিষদ এবং যুব কংগ্রেসের তরফে আন্দোলনে নামা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ, সোমবার কলেজগুলিতে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা কালা দিবস পালন করবেন।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “ছাত্র পরিষদের তরফে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ লাঠি চালায়নি বলেই জানতে পেরেছি। তবে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি গোলমাল হয়েছে।’’ পুলিশ কমিশনার জানান, হাসপাতালের ক্যাম্প থেকে যে পুলিশ কর্মীরা গিয়েছিলেন তারা কোনও আধিকারিককে খবর দেননি কেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সঞ্জীব মজুমদার জানান, খবর নিয়ে তিনি জেনেছেন এ দিন হাসপাতালে ভর্তি এক ছাত্র নেতাকে দেখতে গিয়েছিলেন ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এক যোগে হাসপাতালে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের ক্যাম্প থেকে পুলিশ গেলে তাদের সঙ্গে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের বচসা বাধে। হাসপাতাল সুপার বলেন, “ওয়ার্ডে এক যোগে অনেকের ঢোকা উচিত নয়। তবে সঠিক কী হয়েছিল বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
ছাত্র পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সূর্য সেন কলেজের ছাত্র তথা সংগঠনের এক সদস্য বরুণ সরকার পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এ দিন ভর্তি হন। তাঁকে দেখতে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দিতে সংগঠনের জেলা সভাপতি অমিত তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক কুণাল সিংহ সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠছিলেন। সে সময় ‘এখন ঢোকা যাবে না’ বলে প্রথম নিরাপত্তা কর্মীরা এবং পরে পুলিশ বাধা দেয়। শিলিগুড়ি লোকসভা যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশকে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কথা বললেও তারা শোনেনি। উল্টে লাঠি চালিয়ে বার করে দেয়। অন্য কর্মী-সমর্থকেরা জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও পুলিশ অন্যায় ভাবে লাঠি চালায়। কয়েকজন পুলিশ কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ঘটনার তদন্ত করে দোষী পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.