শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি যোগাযোগে বিকল্প সড়ক
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি, পাশাপাশি দুই শহরে যোগাযোগের সময় কমাতে বিকল্প সড়ক তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মাত্র ত্রিশ মিনিটে দুই শহরে যোগাযোগ সড়ক তৈরি করতে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পূর্ত সড়ক দফতরের জলপাইগুড়ি শাখায় ইতিমধ্যে বরাদ্দের লিখিত অনুমোদন চলে এসেছে। মূল সড়ক, উপ সড়ক মিলে তৈরি হচ্ছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা। আগামী মাসেই এই সড়কের টেন্ডার পক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে পূর্ত সড়ক দফতর জানিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া গোশালা মোড় হয়ে রংধামালি-বেলাকোবা-আমবাড়ি হয়ে শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস পর্যন্ত এই সড়কের কিছু অংশের কাজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে ইতিমধ্যেই করে দেওয়া হয়েছে বলে পূর্ত দফতর জানিয়েছে। আগামী বছরের মার্চের সর মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “এই বিকল্প সড়ককে কেন্দ্র করে একটি সড়ক-জাল তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিকল্প সড়কের সঙ্গে জাতীয় সড়কের যোগাযোগ করার জন্য অন্তত পাঁচটি উপ সড়ক থাকবে। এর ফলে যানজটও হবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে এই সড়কের প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছিলাম, তিনি দ্রুত এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন।”
৩১ ডি জাতীয় সড়কের সামান্তরাল ভাবে তৈরি হবে বিকল্প সড়ক। তবে, এর জন্য নতুন করে সড়ক তৈরির প্রয়োজনীয়তা হবে না বলে পূর্ত দফতর জানিয়েছে। গোশালা মোড় আমবাড়ি স্টেশন রোড ধরে সাহুডাঙি হয়ে ফুলবাড়ির তিস্তা সেচখাল লাগোয়া পথ ধরে ইস্টার্ন বাইপাস পর্যন্ত একটি গ্রামের ভেতর দিয়ে পূর্ত দফতরের একটি রাস্তা ইতিমধ্যেই রয়েছে। সেই রাস্তাকে সম্প্রসারণ-সংস্কার করেই বিকল্প পথ তৈরি হবে। রাস্তার দুপাশে সরকারি জমি থাকায় সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা বা উচ্ছেদ্দের কোনও প্রয়োজন নেই বলে পূর্ত দফতর জানিয়েছে। সে কারণে রাস্তা তৈরি বা সম্প্রসারণের কাজে কোনও জটিলতার আশঙ্কাও নেই বলে জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত সড়কের প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিল, সেই অংশটিও পূর্ত সড়ক বিভাগের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। পূর্ত সড়ক দফতরের জলপাইগুড়ি বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার দীপক সিংহ বলেন, “সড়ক তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৬৮ কোটি টাকার বরাদ্দ মিলেছে। আগামী মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
বর্তমানে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি যোগাযোগের মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে দু থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। গত তিন-চার বছর ধরে খানাখন্দে ভরা জাতীয় সড়কে যাতায়াতের দুর্ভোগ এবং সময় দুই-ই ক্রমশ বাড়ছে। বিকল্প সড়ক তৈরি হলে এই যন্ত্রনা লাঘব হবে বলে মনে করছে পূর্ত দফতর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.