একটি ইটভাটার পাশে বোমা পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর সংলগ্ন হরনগর দক্ষিণপাড়া এলাকায়। রবিবার সকালে ইটভাটার পাশে পাটখেত ঘেরা কলাবাগানের ভিতরে বোমাটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। বোমাটির বিস্ফোরক ক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে রয়েছে পুলিশ ।
পুলিশ জানিয়েছে, বোমাটি প্রায় আড়াই ফুট দীঘর্। একটি নীল রঙের পাইপের মাঝখানে একটি ফুটো। সেখান থেকে দুটো তার বেরিয়ে আছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “এই ধরণের বোমা যথেষ্ট উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়। দূর থেকে তার দিয়ে বোমটিকে ফাটানো যায়।’’ জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিস্ফোরকটি হাতে বানানো নয়। বিস্ফোরণগুলো মূলত সরকারি বা বেসরকারিভাবে খনন কার্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।’’ |
উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র। |
সম্প্রতি ওই এলাকায় শিবির করে তেলের সন্ধান করছিল ওএনজিসি। এই কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচে তারা বিস্ফোরণও ঘটাত বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বোমাটির সঙ্গে ওএনজিসির সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন এই অঞ্চলে এই ধরণের বিস্ফোরকের দেখা মিলল এই প্রথম। প্রথম অবস্থায় পুলিশকর্তাদের এই বিস্ফোরকটিকে ডিটনেটর বলে মনে হলেও জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “বিস্ফোরকটি প্রাথমিকভাবে ডিটনেটর বলে মনে হচ্ছে না। কারণ সাধারণত ডিটনেটর এত বড় হয় না।” পরে বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা এসে বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করেন।
কিন্তু কিভাবে ওখানে এই ধরণের বিস্ফোরকটি এল?
পুলিশ সুপার বলেন,‘‘ ওএনজিসির সঙ্গে ওই বিস্ফোরকটির কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ শনি ও রবিবারে কৃষ্ণনগরের দিগনগর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একাধিক মাওবাদী পোস্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে একটি বিস্ফোরকের সন্ধান মেলায় নতুন করে জেলায় মাওবাদী উপস্থিতির কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। যদিও পুলিশ সুপার বলেন, “এই বিস্ফোরকের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও
সম্পর্ক নেই।’’ |