হাঙ্গারি রেসে পোল পাওয়ার পর গতকাল বলেছিলেন, “আমি জিতলে সেটা হবে মির্যাকল!” রবিবারের হাঙ্গারোরিং সার্কিটে সেই অত্যাশ্চর্য কাণ্ডটাই ঘটিয়ে ফর্মুলা ওয়ানে মরসুমে নিজের প্রথম রেস জিতলেন লুইস হ্যামিল্টন। মাইকেল শুমাখারের জায়গায় মার্সিডিজ দলে আসার পর তাঁর প্রথম ট্রফি।
প্রাক্তন ফর্মুলা ওয়ান তারকা ডেভিড কুল্টহার্ড রেসের শেষে বলছিলেন, “আজ নিজের কানের হিরের দুলগুলোর মতোই চালাল লুইস। নিখুঁত, ঝকঝকে!” সেবাস্তিয়ান ভেটেলকে শুরুতেই পিছনে ফেলে দেওয়া থেকে চেকার্ড ফ্ল্যাগ পার হওয়া পর্যন্ত সত্যিই কোনও ভুল করলেন না ব্রিটিশ তারকা। প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের কথায়, “আমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জয়। আজ একটা খিদে নিয়ে নেমেছিলাম। তবে সব কিছু এত মসৃণ হল দেখে আমি নিজেই অবাক!” মার্সিডিজের এটা মরসুমের তৃতীয় জয়। তবে দলের জন্য ব্যাপারটা ষোলোকলা পূর্ণ হত, যদি না ছেষট্টি ল্যাপে হ্যামিল্টনের টিমমেট নিকো রোজবার্গ ইঞ্জিন বিগড়ে ছিটকে যেতেন। |
মরসুমের প্রথম ট্রফি নিয়ে হ্যামিল্টন।
|
আজ সহারা ফোর্স ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞতা আবার ঠিক হ্যামিল্টনের উল্টো হল। ত্রুটিপূর্ণ, অন্ধকার। আদ্রিয়ান সুটিলের এটা ছিল শততম রেস। কিন্তু কুড়ি ল্যাপে ফিলিপে মাসার ফেরারির সঙ্গে একটা ছোট্ট ঠোকা লাগার পরই জার্মান চালক পিট লেনে ফিরে রেস ছাড়তে বাধ্য হন। দল জানায়, আগের ল্যাপেই হাইড্রলিক ব্যবস্থা বিগড়ে সমস্যায় ছিলেন সুটিল। দলের অন্য চালক পল ডি রেস্টাও রেস শেষ করতে পারলেন না। ফলে জার্মানির পর হাঙ্গারি থেকেও শূন্য হাতে ফিরছে ভারতীয় দল।
কয়েকটা দুর্দান্ত ওভারটেকিংয়ের সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয় হলেন লোটাসের কিমি রাইকোনেন। তৃতীয় সেবাস্তিয়ান ভেটেল। সিলভারস্টোন আর জার্মানির শেষ দুই রেসে হ্যামিল্টন পোল পেলেও ট্রফি নিয়ে গিয়েছিলেন ভেটেল। কিন্তু আজ তিনিও মেনে নেন, হ্যামিল্টন অসাধারণ চালিয়েছেন। ভেটেলের কথায়, “সব কৌশল প্রয়োগ করেও ওকে হারাতে পারলাম না।” পুরো দশটা রেসের পর আবার জিতলেন হ্যামিল্টন। বললেন, “কাল অনেক রাত পর্যন্ত আমরা স্ট্র্যাটেজি আলোচনা করি। কিন্তু এই মরসুমে এতবার দুর্ভাগ্যের স্বীকার হয়েছি যে জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না।” চার বার হাঙ্গারির রেস জেতা মাইকেল শুমাখারকেও স্পর্শ করলেন হ্যামিল্টন। ব্রিটিশ এর আগে এখানে জিতেছেন ২০০৭, ২০০৯ এবং ২০১২-য়। |