বার্সেলোনায় ট্রফি জেতাই ছিল তাঁর আমলের মূল লক্ষ্য। মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তাকে নিয়ে গড়েছিলেন তিকিতাকার সাম্রাজ্য। এখন জুপ হেইনকেসের গড়ে তোলা ত্রিমুকুট জয়ী বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব তাঁর ঘাড়ে। আর শুরুতেই পেপ গুয়ার্দিওলা বুঝে গেলেন যে, জার্মানিতে জীবন হয়তো অত সহজ হবে না।
মার্কো রয়েসের জোড়া গোলের সৌজন্যে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে জার্মান সুপার কাপে ৪-২ হারা ছাড়াও বুন্দেশলিগা শুরুর আগেই জার্মানিতে বিতর্কের নতুন নাম এখন পেপ গুয়ার্দিওলা। ম্যাচ হারের ক্ষত তো ছিলই। তার উপর আবার গুয়ার্দিওলা থাপ্পড় মেরে বসলেন ক্লাবের নতুন তারকা থিয়াগো আলকান্তারাকে। স্বয়ং গুয়ার্দিওলাই ওকালতি করে নিজের প্রাক্তন ক্লাব থেকে আলকান্তারাকে বায়ার্নে এনেছিলেন।
শনিবার ম্যাচের শুরুতেই রয়েসের গোলে ০-১ পিছিয়ে যাওয়ায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গুয়ার্দিওলা। ৭৬ মিনিটে সব রাগ গিয়ে পড়ে আলকান্তারার উপর। দলকে খেলার ছক বোঝাতে বোঝাতে থাপ্পড় মেরে বসেন দলের নতুন সদস্যকে। |
গুয়ার্দিওলার মেজাজ হারানোর ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। আগেও তাঁর রাগের মুখে পড়েছেন মেসি, দানি আলভেসরা। বায়ার্ন কোচ হিসেবে গুয়ার্দিওলার অভিষেক ম্যাচ জিতে ডর্টমুন্ড কোচ যুরগেন ক্লপ বলেন, “সব সময় বলে এসেছি যে বায়ার্নের সঙ্গে খেলা হলেই ওদের হারাতে চাই। বুন্দেশলিগা মরসুম শুরু হতে আরও দু’সপ্তাহ বাকি থাকলেও দেখিয়ে দিলাম আমার তৈরি।” যদিও শনিবারের ম্যাচকে ‘প্রাক মরসুম’ ম্যাচের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না বায়ার্নের অন্যতম অস্ত্র ফিলিপ লাম। বলেন, “অবশ্যই জিততে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্ত দিনের শেষে ম্যাচটাকে প্রাক মরসুম ম্যাচ হিসেবেই ধরা হবে।” |