উৎসবের আগের দিন বিস্ফোরক মন্তব্য বাগান সচিবের
‘অপসংস্কৃতি’র টেনিস কার্নিভাল বন্ধ করতেই মোহনবাগান দিবস
ক বিতর্ক ফিকে হতে না হতেই মোহনবাগান দিবসের প্রাক্কালে আর এক বিতর্ক হাজির গঙ্গাপারের তাঁবুতে।
মোহনবাগানরত্ন বারবার কেন মরণোত্তর দেওয়া হবে তা নিয়ে বিতর্ক এখনও মেটেনি। এরই মাঝে উৎসব-দিনের চব্বিশ ঘণ্টা আগে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন একদা ক্লাবের বিখ্যাত টেনিস কার্নিভাল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে।
বলে দিলেন, “টেনিস কার্নিভালের নামে অপসংস্কৃতি হত ক্লাবে। কোনও দিনই ভাল লাগত না। ওই কার্নিভালের সঙ্গে মোহনবাগানের ঐতিহ্য মেলে না। সে জন্যই টেনিস কার্নিভাল বন্ধ করা হয়েছে। ২৯ জুলাইয়ের ইতিহাস মাথায় রেখেই চালু করেছি মোহনবাগান দিবস।”
‘অপসংস্কৃতি’ বলতে তিনি ঠিক কী বলতে চাইছেন জানতে চাইলে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি অঞ্জন। তবে তাঁর এই মন্তব্যের পর স্বভাবতই তীব্র সরব ময়দান।
অতীতে মোহনবাগান সদস্যদের ‘গেট-টুগেদার’ ছিল টেনিস কার্নিভাল। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ শীতকালে যা হত নিয়ম করে। র্যাম্পার্টের দিকে তৈরি টেনিস কোর্টে বছরের পর বছর প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে গিয়েছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, আখতার আলি, প্রেমজিৎলাল থেকে শুরু করে রমানাথন কৃষ্ণনের মতো কিংবদন্তি ভারতীয় ডেভিসকাপারও। তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলেছেন চুনী গোস্বামী, মানিক গোস্বামীরাও। সদস্যদের জন্য থাকত দেদার পান-ভোজনের আয়োজন। নয়ের দশকে ক্ষমতায় আসার পরেই ১৯৯৮ থেকে টেনিস কার্নিভাল বন্ধ করে দেন টুটু-অঞ্জনরা। ১৯১১ সালের শিল্ড জয়ের গৌরব স্মরণ করে তাঁরা চালু করেন মোহনবাগান দিবস।

মোহনবাগানের টেনিস কার্নিভাল ‘অপসংস্কৃতি’ শুনে চুনী গোস্বামী বললেন, “ও রকম উৎসব আর হবে না। আমার দাদা মানিক ছিল টেনিস সচিব। জানি না সচিব এই মন্তব্য কেন করলেন। তবে আমার কোনও দিনই টেনিস কার্নিভালকে অপসংস্কৃতি মনে হয়নি।” জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ও বললেন, “ধীরেন দে টেনিস কার্নিভালটাকে দারুণ ভাবে করতেন। নিখুঁত একটা ক্লাব পিকনিক বলা যেতে পারে। সেখানে অপসংস্কৃতির প্রশ্ন আসছে কোথ্বেকে?”
আজ, সোমবার মোহনবাগান দিবসে বর্ষসেরা ফুটবলার হিসাবে যাঁর নামাঙ্কিত ট্রফি পাবেন ডেনসন দেবদাস, সেই করুণা ভট্টাচার্যের ছেলে দীপক ভট্টাচার্য বাগানের টেনিস কার্নিভালের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন। তিনি বললেন, “টেনিস কার্নিভালের মজাই ছিল আলাদা। পান-ভোজন হত। কিন্তু কখনও কাউকে অসংযত আচরণ করতে তো দেখিনি!”
বারবার মরণোত্তর মোহনবাগানরত্ন প্রদান নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন সবুজ-মেরুন সচিব। “একশো বছর আগে থেকেই যদি মোহনবাগানরত্ন দেওয়ার প্রথা থাকত, তা হলে এত কথা উঠত না। শিবদাস, বলাইদাসদের ভুলে গিয়ে তো আর এই পুরস্কার দেওয়া যায় না! দুর্ভাগ্য, তাঁরা আমাদের মধ্যে নেই,” বলেন অঞ্জন।
সব মিলিয়ে দু’বছর পর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে নিজেদের মাঠে মোহনবাগান দিবসকে ক্লাব কর্তারা ফিরিয়ে আনতে পারলেও, অনুষ্ঠানের আগের দিন শহরে হাজির নিম্নচাপের জেরে ঝড়-বাদলার মতোই বাগান জুড়েও ভারী আবহাওয়া। একের পর এক বিতর্কের চাপে!
• ...ও রকম উৎসব আর হবে না। জানি না সচিব এই মন্তব্য কেন করলেন। তবে আমার কোনও দিনই টেনিস কার্নিভালকে অপসংস্কৃতি মনে হয়নি।
চুনী গোস্বামী
• ...ধীরেন দে টেনিস কার্নিভালটাকে দারুণ ভাবে করতেন। নিখুঁত একটা ক্লাব পিকনিক বলা যেতে পারে। সেখানে অপসংস্কৃতির প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে?
জয়দীপ মুখোপাধ্যায়




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.