মাওবাদীদের নামে হুমকি চিঠি ডাক্তারকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদীদের নাম করে এক চিকিৎসককে হুমকি চিঠি দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগে এক হাতুড়ে ডাক্তারকে ধরল পুলিশ। ধৃত সুব্রত মহাপাত্র ওরফে শুভর বাড়ি কেশপুর থানার ধলহারায়। তবে এখন মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার হাতিহল্কায় থাকেন। এখানে তাঁর চেম্বারও রয়েছে। রবিবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে ২ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। ৩০ জুলাই সুব্রতকে ফের আদালতে হাজির করা হবে। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গত ৯ জুলাই মেদিনীপুরের চিকিৎসক কে সি পাল এই হুমকি চিঠি পান। চিঠিটি ৮ জুলাই লেখা। উপরে লেখা ছিল ‘সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠন’। নীচে ‘সিপিআই (মাওবাদী) জিন্দাবাদ।’ ১৫ জুলাই ওই চিকিৎসক কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বুঝতে পারে, ঘটনার সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই। মাওবাদীদের নাম করে কেউ এই কাণ্ড করেছে। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমাদের সংগঠন চালাতে জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। আগামী বুধবার (১০ জুলাই) ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করে রাখবেন।’ চিঠিতে আরও লেখা ছিল, ‘আপনার একমাত্র ছেলের মাথার দাম কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি।’ ওই চিকিৎসকের ছেলে শুভেন্দু পাল কলকাতায় থাকেন। অভিযুক্ত ডাক্তার মেদিনীপুরের ওই চিকিৎসকের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করতেন। পরে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় এই হুমকি চিঠি বলে পুলিশের ধারণা। |
আদালতে সুব্রত মহাপাত্র।—নিজস্ব চিত্র |
চিঠি পাঠানোর পর চিকিৎসককে ফোন করেও টাকা চাওয়া হয়েছিল। মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ মহম্মদ সেলিম নামে এক যুবকের নাম জানতে পারে। দিন কয়েক আগে ডেবরা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় ওই হাতুড়ে ডাক্তারকে। হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুরের আর এক চিকিৎসক এ সি পালকে। তিনি অবশ্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। ইতিমধ্যে ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর (আইএমএ) এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তের তদারকি শুরু করেন ডিএসপি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মনোরঞ্জন ঘোষ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। রবিবার তাঁকেও মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে ৮ অগস্ট পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। |
|