|
|
|
|
খারিজ জাল উইল |
২১ বছরে মামলা জিতে ২০ হাজার কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীগড় |
সবুরে মেওয়া ফলে এমন কথা তো সবাই জানে। কিন্তু সবুরে একেবারে ২০ হাজার কোটি টাকার মালকিন হওয়া যায় এমনটা বোধ হয় ভাবতে পারেননি ফরিদকোটের মহারাজার দুই মেয়ে।
এমনটাই সত্যি হল চণ্ডীগড়ে। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সম্পত্তির দাবিতে মামলা চালিয়ে গিয়ে অবশেষে জিতলেন মহারাজা হারিন্দ্রর দুই মেয়ে অমৃত ও দীপীন্দ্র।
১৯৮৯ সালে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রেখে মারা গিয়েছিলেন ফরিদকোটের মহারাজা হারিন্দ্র সিংহ ব্রার। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। হারিন্দ্রর মৃত্যুর আগেই তাঁর ছেলে এবং ২০০১ সালে ছোট মেয়ে মহীপীন্দ্র মারা যান। ফলে মহারাজের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির দাবিদার ছিলেন তাঁর দুই মেয়ে, অমৃত ও দীপীন্দ্র। কিন্তু এমনটা হয়নি।
তাই ১৯৯২ সালে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই অভিযোগ করে হারিন্দ্রর মেয়ে অমৃত কৌর চণ্ডীগড়ের একটি আদালতে মামলা করেন। হারিন্দ্রের সই করা একটি উইল অনুযায়ী তাঁর সব সম্পত্তি তিনি একটি ট্রাস্টে দান করে গিয়েছেন। আর দীপীন্দ্র ও মহীপীন্দ্র ওই ট্রাস্ট থেকে মাসে যথাক্রমে ১২০০ আর ১০০০ টাকা পাবেন। অমৃত কোনও কিছুই পাবেন না। অমৃতের অভিযোগ ছিল, মহারাজার সই করা উইলটি ভুয়ো। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে হারিন্দ্র যখন মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলেন তখন কোনও ভাবে তাঁর সই জাল করে তাঁর পরিচারকেরা এই উইল বানিয়েছিলেন। কারণ হারিন্দ্রের পরিচারকেরা মিলেই ওই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। আর তাঁদের মা মহীন্দ্র কৌর তখন জীবিত থাকলেও তাঁকেও সম্পত্তির অংশ দেওয়া হয়নি। অমৃতের মতে, যা একেবারেই অসম্ভব ঘটনা।
২১ বছর ধরে মামলা চলার পরে অবশেষে বিচারক অমৃতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। ওই দলিলকে ভুয়ো বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে হেতু মহীপীন্দ্র মারা গিয়েছেন, তাই ওই সম্পত্তি অমৃত ও দীপীন্দ্রের মধ্যে
সমান ভাবে ভাগ হবে। বর্তমান বাজারদর হিসেবে দেখা গিয়েছে হারিন্দ্র মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি। এর মধ্যে ৩৫০ বছরের পুরনো মণি মজরা ফোর্টও রয়েছে। শুধু সোনা আর গয়নার বাজারমূল্য ১ হাজার কোটির কাছাকাছি। এই রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাস্টের তরফে উচ্চতর আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের আইনজীবী। |
|
|
|
|
|