অসমে আলফার নিশানায় পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আলফাকে ক্ষমতাহীন বলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিল আলফার পরেশপন্থী গোষ্ঠী। উচ্চ সতর্কতা ও শহরজুড়ে কড়া নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, খোদ পল্টনবাজার থানার সামনে পুলিশকে নিশানা করে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটালো তারা। এই ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী ও বেশ কয়েক জন কিশোরী বাস্কেটবল খেলোয়াড় জখম হয়েছে। যাদের মধ্যে অন্তত ৩ জন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি।
পুলিশ জানায়, এ দিন শহরজুড়ে বাইক তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। কড়া নজরদারির মধ্যে সারা দিনটা উতরে গেলেও, রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে পল্টনবাজার থানার সামনে বাইকে আসা দুই যুবক গ্রেনেড ছুড়ে চম্পট দেয়। তখন সেখানে পুলিশের নজরদার বাহিনী ছিল। ছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে আন্তঃরাজ্য বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছাত্রীরা। স্প্লিন্টারের ঘায়ে ১৪ জন জখম হন। এদের মধ্যে রয়েছে হাসিমারা সেন্ট্রাল স্কুলের ছাত্রী পিয়া রায় (১৩), সাহানা বেগম (১২) এবং ঝর্না ঝা (১৩)। |
|
|
পল্টনবাজারে ঘটনাস্থল পরীক্ষায় নিরাপত্তাবাহিনী।
(বাঁদিকে) আহত বাস্কেটবল প্রতিযোগী।—নিজস্ব চিত্র |
|
পুলিশের এক কনস্টেবল ও এক হোমগার্ডও বিস্ফোরণে জখম হন। সকলকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ছাত্রীর মধ্যে পিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হোমগার্ড হাসিম আলির জখমও গুরুতর। এই একই জায়গায় গত বছর সেপ্টেম্বরেও একই কায়দায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা।
গত মঙ্গল ও বুধবার লখিমপুর ও কার্বি আংলং জেলায় আলফা তিনটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে এক জন মারা গিয়েছিলেন। জখম হন ১৫ জন। এর পরেই রাজ্যজুড়ে উচ্চ সতর্কতা ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অভিযোগ করেন, অন্য দেশের মদতেই শিরোনামে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে আলফা (স্বাধীন)।
ডিজি জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্য , “পাক এজেন্সিগুলির চাপেই পরেশ বরুয়া অসমে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন।” গত কাল আলফার শহিদ দিবসে স্বাধীন গোষ্ঠীর সভাপতি অভিজিৎ অসম বিচ্ছিন্নতার লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। |
|