|
|
|
|
পাল্টা অভিযোগ মায়ের |
রাতে বাইকে কেরামতি, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মোটরবাইক নিয়ে কেরামতি দেখাতে বেরিয়েছিল বিশাল দল। শেষে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল ১৯ বছরের এক যুবকের। রবিবার ভোররাতে দিল্লির উইন্ডসর প্যালেসের সামনের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, মোটরবাইক থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাইক-বাহিনী কথা না শোনায় টায়ার লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালায়। গুলি
|
আহত পুনিত |
কর্ণ পাণ্ডে নামে ওই যুবকের পিঠে লাগলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। কর্ণের সঙ্গী পুনিত শর্মা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। “পুলিশের এ ভাবে গুলি চালানো উচিত হয়নি। ওরা বাচ্চা ছেলে। ওদের তো ভুল হতেই পারে”, মন্তব্য পুনিতের মায়ের। যদিও পুলিশ অভিযোগ মানতে চায়নি। দিল্লি পুলিশের পাল্টা দাবি, প্রতি রাতেই বিশাল বাইক-বাহিনী বেরোয় ওই এলাকায়। নিজেদের মধ্যে রেস ছাড়াও তারা বিপজ্জনক কেরামতি দেখাতে থাকে। দুর্ঘটনায় পড়ে এর আগে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ কয়েক জনকে আটক করলেও কেরামতি দেখানো বন্ধ হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন রাত দু’টো নাগাদ ফোন আসে, গোল ডাক খানার কাছে ৩০-৩৫ জনের বাইক-বাহিনী দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে টহলদার বাহিনী সেখানে যায়। দেখা যায় ঘটনাস্থলে প্রায় ১৫০ জনের দল মোটরবাইকে কেরামতি দেখাচ্ছে। তা থামাতে বললে উল্টে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে বলে পুলিশের দাবি। এই ঘটনায় কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ প্রথমে শূন্যে গুলি ছোড়ে। তাতেও কাজ হয়নি। বরং ওই বাইক-বাহিনী পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। শেষে তারা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ চাকা লক্ষ করে গুলি চালায় বলে খবর। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তা কর্ণের পিঠ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। |
|
সেই বাইক। |
বাইকটা চালাচ্ছিলেন পুনিত। তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ওই দু’জনকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুনিত এখন বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে পুলিশের দাবি, পুনিত মদ্যপ ছিলেন।
এ দিকে কর্ণের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে মোটরবাইক চালাতেই জানতেন না। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় পুনিত আহত হয়েছেন বলে পুলিশ যে দাবি করছে তা মিথ্যে। কারণ ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে পুনিত নিজে কর্ণের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ কর্ণের মা। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের থানায় বসিয়ে রেখেছিল পুলিশ। তাঁকে ছেলের বিষয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। শেষে আত্মীয়দের ফোন করে করেন তিনি। তাঁরাই খোঁজ নিয়ে ছেলের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। পুনিতকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। |
ছবি: পিটিআই |
|
|
|
|
|