থানার ভিত্তিতেই ভাগ হচ্ছে পিভিডি-র এলাকা
লাকা বিন্যাসের জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ত্রিখণ্ডিত হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন বেলতলা পিভিডি।
পরিবহণ দফতর কয়েক মাস আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, মোটর ভেহিক্লসের বেলতলা অফিসকে ভেঙে কসবা এবং সল্টলেকে নতুন পিভিডি-র অফিস হবে। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় এলাকা ভাগাভাগি নিয়ে। কসবা এবং সল্টলেক অফিসের এলাকা বিন্যাস পিন কোডের ভিত্তিতে হবে, না থানার ভিত্তিতে, তা নিয়েই পরিবহণ দফতরের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়। শেষমেশ ঠিক হয়েছে, থানার ভিত্তিতেই নতুন দু’টি মোটর ভেহিক্লস অফিসের এলাকা বিন্যাস হবে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ পুলিশের অধীনে প্রথম এই বেলতলা অফিস তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে বিভিন্ন রকম ঘোড়ার গাড়ি বা ‘হ্যাকনে ক্যারেজ’-এর কাজকর্ম হত এই অফিসে। পরে বিধানচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেলতলা অফিসটি রাজ্য পরিবহণ দফতরের অধীনে আসে। এত দিন পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের এলাকা ছাড়াও রাজ্য পুলিশের সল্টলেক এবং লেকটাউন থানা এলাকা বেলতলার অধীনে ছিল। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ত্রিখণ্ডিত হওয়ার পরে বেলতলার অধীনে শুধু কলকাতা পুলিশের ৪৭টি থানা থাকছে। অন্য দিকে, নতুন পিভিডি কসবার অধীনে থাকছে বাঁশদ্রোণী, গরফা, কসবা, পাটুলি, প্রগতি ময়দান, পূর্ব যাদবপুর, সার্ভে পার্ক, তিলজলা এবং তপসিয়া থানা। সল্টলেক পিভিডি-র অধীনে আসছে বিধাননগর কমিশনারেটে সল্টলেকের সবগুলি থানা এবং লেকটাউন, মানিকতলা, বেলেঘাটা, চিত্‌পুর, কাশীপুর, নারকেলডাঙা, ফুলবাগান, সিঁথি, টালা এবং উল্টোডাঙা থানা এলাকা। এত দিন কলকাতা পুরসভার ১০১ থেকে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত গাড়ির কাজকর্ম হত আলিপুর আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পরে ওই এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে এসেছে। এ বার ওই সব এলাকাও আলিপুর থেকে পিভিডি বেলতলা এবং কসবার অধীনে আনা হচ্ছে।
ভাগাভাগি থানার ভিত্তিতে কেন?
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “সাধারণ ভাবে প্রশাসনিক বিভাজন থানার ভিত্তিতেই করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে পিন কোডের মাধ্যমে ভাগাভাগির প্রসঙ্গ উঠেছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, একটি থানার অধীনে একাধিক পিন কোড থাকলে ক্ষতি নেই। কিন্তু একই পিন কোডের অধীনে একাধিক থানা থাকলে ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধে হবে।”
পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, “বেলতলা অফিসের চাপ বেড়েই চলেছে। এখানে প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ লাইসেন্স নথিভুক্ত হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের চাপ তো আছেই। এই বিশাল চাপ কমাতেই বেলতলাকে ভেঙে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।” ওই কর্তা জানান, ২০১২-র ১ এপ্রিল থেকে ২০১৩-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেলতলার অফিসে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ২৮ হাজার ৫৭৬টি। পিভিডি ভেঙে দিলে এই চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই কর্তার কথায়, “আমাদের দেশের সব বড় শহরের মোটরযান অফিসই এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। কলকাতার ক্ষেত্রেও এই বিভাজন জরুরি ছিল।” পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস বা সিএফ-এর কাজও কসবা এবং সল্টলেকে ভাগ করে দেওয়া হবে।
রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “ভাগাভাগির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কোথায় কোথায় অফিস হবে, ক’জন অফিসার ও কর্মী পাঠানো হবে, এই সব কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে। ঠিক হয়েছে, মাস দুয়েকের মধ্যেই পিভিডি-কে ত্রিখণ্ডিত করার কাজ শেষ করা হবে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.