নিরাপদ স্বাস্থ্যকর চা। যা তৈরি হয়েছে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করে। বিঘ্নিত হয়নি শ্রমিক স্বার্থও। সর্বোপরি গুণগত মানও উন্নত। এ সব মাপকাঠিতে বিচার করে তৈরি ভারতের চা পাবে বিশেষ স্বীকৃতি বা ইন্ডিয়ান সাস্টেনেবল টি কোড। শিল্পমহল ও উপদেষ্টা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই খসড়া কোড তৈরি করছে টি বোর্ড।
যথাযথ নিয়ম মেনে চা তৈরি হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে এত দিন কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল না।
কিছু বাগান কর্তৃপক্ষ নিজের উদ্যোগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থাকে দিয়ে অবশ্য বাগানের চা ও চা তৈরির পদ্ধতিকে যাচাই করতেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও মাপকাঠি না-থাকায় এবং ওই যাচাইয়ের পদ্ধতি বাধ্যতামূলক না-হওয়ায় ভারতীয় চায়ের গুণগত মান নিয়েও অনেক সময় প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি নির্ধারণে উদ্যোগী হয় টি বোর্ড। কারণ চায়ের গুণগত মানের পাশাপাশি তা সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে এ সব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ওই কোড তৈরি ও তা কার্যকরের জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ বছরের জন্য ১৮ কোটি টাকা খরচের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
এই লক্ষ্যে আইডিএইচ, রেনফরেস্ট, সলিডারিড্যাড, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে টি বোর্ড। সম্প্রতি এই কোডের লোগো ‘ট্রাসটি’ উদ্বোধন করে টি বোর্ড। বোর্ডের চেয়ার ম্যান এম জি ভি কে ভানুর আশা, ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে খসড়া কোড চূড়ান্ত করা যাবে।
ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অরুণ সিংহ-র মতে, নিজস্ব কোড তৈরি হলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় চায়ের কদর আরও বাড়বে। চা শিল্পমহলের আশা, পরোক্ষে এই কর্মসূচি সার্বিক ভাবে চায়ের গুণগত মানও উন্নত করবে। |