আবারও পরীক্ষার সামনে জেলা তৃণমূল। পরীক্ষা মূলত জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। কারণ, প্রথম পরীক্ষায় রামপুরহাট মহকুমায় নলহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে অনুব্রতবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত বিপ্লব ওঝা পরাজিত হয়েছিলেন। সেখানে বিপ্লববাবু ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। শুধু পরাজয় নয়, ওখানে বিপ্লববাবু তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন। ফব-র পরেই ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী।
ফের পরীক্ষার সামনে তৃণমূল। কেন না পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাপরিষদ দখল করতে রামপুরহাট মহকুমার উপরে নির্ভর করতে হবে তৃণমূলকে। কারণ, জেলাপরিষদের যে কটি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গিয়েছে তা বোলপুর মহকুমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের ৩টির মধ্যে ১টি, ইলামবাজারে ২টির মধ্যে ১, নানুরের তিনটির মধ্যে ২টি, লাভপুর তিনটির মধ্যে ৩টি। বাকি চারটি আসনে তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, ওই আসনগুলিতে কংগ্রেস প্রার্থী দিতেই পারেনি। সিপিএম দিলেও উল্লেখ করার মতো হয়।
অন্য দিকে, সিউড়ি মহকুমায় ১৩টি জেলাপরিষদ আসনে ভোট হলেও, কিছু কিছু এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল বিনা লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিচার করলে এখানেও জেলাপরিষদের কিছু আসন তৃণমূল সহজেই দখল করতে পারে, ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু রামপুরহাট মহকুমায় জেলাপরিষদের ১৮টি আসনেই রাজ্যে শাসকদল তৃণমূলকে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও।
গত বার রামপুরহাট মহকুমায় জেলা পরিষদের আসন ছিল ১৫টি। তার মধ্যে বামফ্রন্ট ৮, বিজেপি ১, কংগ্রেস ৬টি পেয়েছিল। তৃণমূল শূন্য ছিল। এ ছাড়া, বর্তমানে এই মহকুমায় তৃণমূলের দু’জন বিধায়ক (আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও নুরে আলম চৌধুরী) আছেন। উল্টো দিকে রয়েছেন ফব বিধায়ক দীপক চট্টোপাধ্যায়, সিপিএমের অশোক রায়, কংগ্রেসের অসিত মাল। তাই তৃণমূলের পক্ষে কাজটা যে খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই মহকুমা থেকে আসন বের করতে না পারলে জেলাপরিষদ তৃণমূলের অধরাই থেকে যাবে।
|
ছিনতাইয়ের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল মুরারই থানার ভবানীপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে। মুরারইয়ের পাইকর গ্রামের বাসিন্দা প্রসাদ মণ্ডলের দাবি, ওই দিন দুপুরে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পাইকর আসছিলেন তাঁর দুই কর্মচারী। পথে তিন জন মোটরবাইক আরোহী ওই দু’জনের বাইক আটকায়। তারা পিছন থেকে রিভলভারের বাট দিয়ে এক কর্মচারীর মাথায় আঘাত করে। এর পরেই দুষ্কৃতীরা বাইকের ডিকিতে থাকা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে রাজগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। |