পঞ্চায়েত ভোটের গণনার আগের দিনই উত্তেজনা ছড়াল মন্তেশ্বর ব্লক অফিস চত্বরে।
সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র তুলতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। রাত পর্যন্ত তাঁরা পরিচয়পত্র তুলতে পারেননি বলেই খবর। যদিও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্লক অফিস চত্বরে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর ব্লক কার্যালয়ের সামনে এ দিন দুপুর থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকেরা। পরিচয়পত্র তুলতে না পেরে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। তবে তার পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
সিপিএমের মন্তেশ্বর (৩) লোকাল সম্পাদক ধর্মদাস চন্দ বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” তৃণমূল অবশ্য ব্লক অফিসের সামনের অংশ দখল করে সিপিএমকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ বলেন, “সিপিএম বিকেল ৫টার পরে পরিচয়পত্র নিতে এসেছিল। তা অন্যায় বলে দলের কর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন।”
কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বলেন, “এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সিপিএমের কিছু প্রার্থী ও এজেন্ট পরিচয়পত্র তুলেছেন। কিছু এখনও পড়ে রয়েছে। মন্তেশ্বর ব্লক অফিস চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিপিএমের প্রার্থী ও এজেন্টেরা বাকি কার্ডগুলি নিয়ে যেতে পারেন।” যদিও তার পরেও সিপিএম ‘নিরাপত্তার অভাবে’র অভিযোগ করেছে। দলের বধর্মান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের বক্তব্য, “তৃণমূল মম্তেশ্বর ব্লক অফিস অবরোধ করে রেখেছে। তাঁদের দোসর রয়েছে পুলিশ। সেই কারণে আমাদের প্রার্থী ও এজেন্টরা পরিচয়পত্র তুলতে পারছে না।”
এরই মধ্যে কেতুগ্রাম ১ ব্লকে গণনাকেন্দ্রে কোনও এজেন্ট না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। তাদের অভিযোগ, ওই ব্লকের ১৪৬টি বুথের মধ্যে ১৪২টিতে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল। যদিও ছাপ্পার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, হার নিশ্চিত জেনেই গণনাকেন্দ্রে যাবেন না সিপিএমের এজেন্টেরা। |