বিতর্ক
রুদ্র নাকি আড়ালে নিজের জন্য সিগারেট সরাচ্ছে

‘বিগ মানি’-র জন্যই কি আবার বিগ বস-এ ফিরে যেতে রাজি হলেন?
না, না। আমরা সবাই তিন মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ। উৎখাত হলেও আমাদের পুরো তিন মাস বাড়িতে রেডি থাকতে হবে যে কোনও সময় ফেরত যাওয়ার জন্য। তাই ফিরে যাচ্ছি। নিজের বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছগুলো এখনও আনতে পারিনি। দোকানে ভাড়া দিয়ে রেখে এসেছি তিন মাসের জন্য। কখন ডাক পড়ে কী জানি। কী অদ্ভুত একটা জায়গা বিগ বস-এর বাড়িটা। আমি তো সারা ক্ষণ শুধু পরিষ্কারই করে যেতাম। বাসন মেজেছি। ফিরে আসার পর আমার দিদি (বিদীপ্তা) আমাকে বলল ওটা কি তোর বাড়ি যে, তুই অত পরিষ্কার করছিলি সব কিছু। আমি বললাম, ওই বাসন মাজাই ওখানে আমার স্ট্রেস বাস্টার ছিল। তবে হ্যাঁ, বাড়ি পরিষ্কার রাখাটা আমার অভ্যেস। এখানেও আমার বাড়িটা ছোট। কিন্তু টিপটপ রাখি। আর ওখানে দেখি মেঝেতে চুল, ধুলো... তবে ফেরা নিয়ে একটা কথা বলব। কত মানুষ চায় যে আমি ফিরে যাই। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তার সাক্ষী। এদের ইচ্ছেকে আমি অসম্মান করতে পারি না।

কে সব থেকে অস্বস্তিতে পড়বেন আপনাকে স্যুটকেস হাতে ঘরে আবার ঢুকতে দেখলে?
(স্যুটকেস গোছাতে গোছাতে) রুদ্র। ও একটু ভেবলে যাবে। আমি তো তেরো দিনের মাথায় বিগ বস-এর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। এসে শুনলাম যে ও নাকি বলেছে ও-ই আমার কেরিয়ার তৈরি করে দিয়েছে। আমার যে পেটব্যথা হয়েছিল বাড়িতে থাকাকালীন, সেটা পুরোটাই নাকি আমি বানিয়েছিলাম লিডার হওয়ার জন্য! আরও বলেছে ব্যক্তিগত জীবনে আমার সম্পর্ক টেকে না কারণ আমি ফটফট করে কথা বলে দিই। তবে রুদ্র ঘরে যা করছে তা শুনে আমি হতবাক।

তার মানে?
বাড়িতে ছ’জন স্মোকার ছিলাম। আমি নিজের জন্য রোজ কুড়িটা সিগারেটের একটা প্যাকেট চেয়েছিলাম। বাকি পাঁচ জন স্মোকারও তাই। কিন্তু রোজ দেখতাম মাত্র পাঁচ প্যাকেট সিগারেট আসছে স্টোর রুমে। এ নিয়ে অনেক বার ক্যামেরাতেও আমরা সবাই বিগ বস-এর কাছে আমাদের ক্ষোভ জানিয়েছিলাম। বেরোনোর পর ক্রু-র কাছে জানতে পারি যে বাড়িতে নাকি ৩৫ প্যাকেট সিগারেট রাখা ছিল। আমি বলি কিন্তু এগুলো তো আমরা একটাও দেখতে পাইনি। তখন জানতে পারি যে ওগুলো সব রুদ্র সরিয়ে ফেলেছে! রোজ সকালে ঘুম ভাঙার বেলটা বাজলেই আমরা উঠে পড়তাম। সবাই ওয়াশরুমের দিকেই হাঁটা লাগাত। রুদ্র তা করত না। ও অপেক্ষা করত কখন স্টোর রুমের বেলটা বাজবে। আর ভেতরে ঢুকে যে ক’টা সিগারেটের প্যাকেট আসত, সেগুলোর মধ্যে থেকে কিছু নিজের জন্য সরিয়ে রেখে বাকি পাঁচটা প্যাকেট এনে বলত, “এই নে, বিগ বস সিগারেট পাঠিয়েছে!”

এ রকমও হচ্ছে নাকি?
আরে, আরও আছে। ও একজনকে টার্গেট করে নেয় বাতিল করার জন্য। রুদ্র তো শুধু কাকে মনোনীত করতে হবে সেটাই ম্যানিপুলেট করেনি, ওকে দেখেছি প্রচ্ছন্ন ভাবে ভোটারদেরও প্রভাবিত করতে। এই যেমন মহেশ জালানকে বলত যে, উনি যে রকম বিনোদন দিচ্ছেন, দর্শক ওকে ভোট করবেই করবে! এটাই তো ভোটারদের প্রচ্ছন্ন ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা।
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
রুদ্র দশ-এ কত পাবে?
শূন্য। আমার ফেসবুকের ইনবক্স ভর্তি হয়ে গিয়েছে রুদ্রর সম্পর্কে নেগেটিভ সব মন্তব্যে। কেউ বলছে অভিনেতা হিসেবে ও ভাল, কিন্তু মানুষ হিসেবে নয়। কেউ বলছে রুদ্রর ছবি দেখবে না।

এতে তো নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হতে পারে...
আমি বিশ্বাস করি, মানুষ ওর এই মূর্তিটা ভুলে যাবে শো শেষ হয়ে গেলে।

ভেতরে গিয়ে রুদ্রর সঙ্গে আবার হেসে কথা বলতে পারবেন?
পারব। কারণ ও আমাকে যাই মনে করুক না কেন, আমি কিন্তু ওকে বন্ধু মনে করি। বন্ধু মানে তার নেতিবাচক দিকগুলোকে নিয়েই তাকে গ্রহণ করা।

পটা আপনার বন্ধু হলেও, ওর সঙ্গেও তো ঝামেলা হয়েছিল...
এক দিন আমাদের বলা হয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি ভারতীয় পোশাক পরতে। আপনি তো বিগ বস-এর বাড়িতে গিয়ে এক দিন থেকেছেন। আমি ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে ওই বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি পরছিলাম। জানি ওখানে ক্যামেরা রয়েছে। তা ছাড়া আয়নাগুলোতেও ক্যামেরা ফিট করা। পটা না জেনেই ওয়াশরুমে আসছিল। আমি ওকে বলেছিলাম যে যখন এত ক্যামেরার সামনে আমি শাড়ি পরতে পারি, তা হলে পটার ওখানে না আসার কী আছে? শ্যুটিং-এর সময় বহু ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা জায়গা থাকে না চেঞ্জ করার জন্য। হয়তো পটাকে অত বছর ধরে চিনি বলেই আমি ওকে এটা বলতে পেরেছিলাম। আমি এটাও জানতাম যে একটা পারিবারিক শো-তে কখনওই একজন পরিচিত মুখকে ও ভাবে দেখানো হয় না। কিন্তু পটা ওটাকে নিয়েই একটা কী বিশাল কাণ্ড করল!

পটাকে কত নম্বর দেবেন আপনি?
পটা একটা বোকা। ও একটা ছোট্ট জিনিসে আটকে যায়। আর তার পর গং গং করে চলতেই থাকে। ও দশ-এ চার পাবে। একদিন দেখি ঘুম থেকে উঠে পটা একটা টি-শার্ট পরে আছে। এক নগ্ন বিদেশিনির ছবি লাগানো টি-শার্ট। আর ওটা পরে পটা বলছে, “আমার বুকে দেখ একটা নগ্ন মেয়ে!” আমি পটাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলাম যে, এটা যেন ও টেলিভিশনের পরদাতে না দেখায়। আর সেই পটাই আমার শাড়ি পরা নিয়ে এত বড় ইস্যু করল! আসলে দোষটা পটার নয়। ও তো ব্যাপারটা ভুলেই গিয়েছিল প্রায়। পটার দেওয়া বাজে ডাল আর নিম্নমানের চাল দিয়ে রুদ্রনীল পরে উচ্চমানের খিচুড়ি বানিয়েছিল... সাড়ে আটটা বাজে। বিগ বস দেখতে দেখতে কথা বলি? এপিসোডগুলো দেখা এখন তো আমার হোমওয়ার্ক। আমার বাড়িটা ছোট্ট। চলুন, শোওয়ার ঘরে গিয়ে টিভি দেখি।

ওখানে টিভি চালিয়ে বসলেন সুদীপ্তা। টিভির পরদায় আইরিস। বিক্রমের কথা শুনে ব্লাশ করছেন।

আচ্ছা, আপনার কি মনে হয়, বিক্রম আর আইরিস প্রেম-প্রেম খেলছে?
বয়স অল্প। প্রেমে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে আমার মনে হয় বিক্রম ইজ ব্যাডলি স্টাক। হৃদয় বলছে ‘ইয়েস’ আইরিস। মগজ বলছে ‘নো’ আইরিস।

পাওলিকে নিয়ে বিক্রম কিছু বলেন?
না। কোনও দিন কিছু বলতে শুনিনি।

আর পটা কি বলেন তাঁর স্ত্রীর কথা?
না, শুনিনি। ও একেবারেই শো-এর মধ্যে ঢুকে গিয়েছে।

আর আইরিস?
বেশ পেশাদার মেয়ে।

সম্পূর্ণা বেরিয়ে গিয়েছেন। আইরিস বলেছেন উনি নাকি দুমুখো...
একমুখো মানুষ খুব কম পাওয়া যায় জীবনে। বিগ বস-এও তাই। ওখানে ক্যামেরা আছে বলেই ওই দ্বিতীয় মুখটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমার মতে সম্পূর্ণা ইনোসেন্ট। ওকে মিস করব।
সুদীপ্তার মার্কশিট
রুদ্র:
কার্তিক: ৮.৫
নন্দিনী:
বিক্রম:

কার্লিটা মোহিনীর সঙ্গে তো আপনার প্রথম দেখা হবে এ বার...

ওকে আমার বেশ স্বতঃস্ফূর্ত লেগেছে। ও এ রকমই। বা ও ইচ্ছে করেই ও ভাবে বিনোদনটা দিচ্ছে। গরম মশলার কাজটা ভালই করছে।

কনীনিকাকে কি খেলোয়াড় মনে হয়?
প্রথম দিন থেকেই ও ভাল খেলছে। প্রচুর ক্ষমতা দরকার ওই রকম একটা পরিবেশে এত ঠান্ডা ভাবে থাকতে গেলে। ওই স্ট্রেসটা হ্যান্ডল করার জন্য কত কী লোকে করছে। কিন্তু কনীনিকাকে আমি বার্স্ট করতে দেখিনি। এক দিন করেছিল। কিন্তু সেটা ছিল অ্যাক্টিং। তবে জানি না ওই অ্যাক্টিংয়ের মধ্যে সত্যিকারের ইমোশনও ফুটে উঠেছিল কি না।

নন্দিনী, কার্তিক আর অনীক? এঁদের কেমন লাগছে?
নন্দিনীকে বুঝতে পারিনি। হয়তো ডার্লিং গোছেরই একজন মহিলা উনি। কার্তিকদাও ভাল মানুষ। ওর কাছে জেতাই বা কি হারাই বা কি। অ্যান্ড অনীক ইজ আ সুইটহার্ট।

যারা বিগ বস-এর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে কে ভেতরে গেলে ভাল টক্কর হয়?
মল্লিকা। ওকে রুদ্ররা একসঙ্গে টার্গেট করে বের করেছিল। ঠিক আমাকে যে ভাবে করেছিল। অনেকে বলেছে আমাকে যে, মল্লিকা ন্যাকামি করেছে বাড়ির ভেতর। কিন্তু আমার তো মনে হয়েছে ওটাই ওর অ্যাকচুয়াল রূপ।

আর মহেশ?
সম্পূর্ণ ফেক। ভাট বকে চলতেন সারাক্ষণ। উনি বলেছেন যে নিজের পরিবারের সবাইকে মিঠুনদার সঙ্গে দেখা করানোর জন্য সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে প্লেনের টিকিট কেটে, হোটেল ভাড়া করে লোনাভালা নিয়ে গিয়েছিলেন।

এই শো-এর জনপ্রিয়তার পর কি পুজো উদ্বোধন করবেন?
আগে করিনি। অফার এলে ভেবে দেখব। আমি তো বাণিজ্যিক ছবির অভিনেত্রী ছিলাম না। আমার নিশ দর্শক ছিল। বিগ বস আমাকে মাস-এর কাছে নিয়ে গিয়েছে। সেদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চলচ্চিত্র সম্মান নিতে গিয়েছিলাম। মমতা শঙ্কর থেকে বনশ্রী সেনগুপ্ত, শুভশ্রী থেকে রাজ্যের মন্ত্রীসব্বাই শোয়ের গল্প শুনতে চাইছিলেন।

কেন এই ক্রেজ?
পাশের ঘরের কোঁদল কূটকচালি শুনতে বোধ হয় সবার ভাল লাগে।

শেষ প্রশ্ন। প্রতি সপ্তাহে এই নির্বাসনের জন্য কত জমল আপনার অ্যাকাউন্টে?
(হেসে) প্রত্যেক সপ্তাহে থাকার জন্য একটা অ্যামাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। এক একজনের এক একটা অ্যামাউন্ট।

শুনেছি কেউ কেউ পাঁচ লাখ অবধি পাচ্ছেন....
বাংলা টেলিভিশনে অত কেউ পায় না।

আপনি?
খবরের কাগজে টাকার অঙ্কটা কেউ বলে নাকি?

বারবার বলছেন আপনার বাড়িটা ছোট। যেটা পেলেন সেটা কি নতুন বাড়ি, না অন্য কিছুতে বিনিয়োগ করবেন?
এখনও ভেবে দেখিনি কী করব। তিন মাস তেমন কাজ ছিল না। যে টাকাটা আমি দু’ সপ্তাহে রোজগার করেছি সেটা বাংলা সিরিয়াল করলে অন্তত দেড় মাস লাগত। ফিল্ম থেকে রোজগার করতে গেলে হয়তো পাঁচ ছ’টা সিনেমা করতে হত। তবে আমি ভেতরে গিয়েছি শুধুমাত্র ফরম্যাটটা জানার জন্য।

বিগ বস-য়ের বাড়িতে থাকাকালীন আপনি নাকি অস্বাভাবিক বেশি এসএমএস ভোট পেয়েছিলেন। বাংলা টেলিভিশনে এই রেঞ্জে কখনও এসএমএস ভোটিং হয়নি...
আমি সত্যি সেটা জানি না। বাড়িতে থাকাকালীন কারও নিন্দা করতাম না। আমার দশ হাজার ফলোয়ার আছে। তারা ভালবেসেই ভোট দিয়েছে।

কেউ কেউ বলছেন যে এত এসএমএস ভোট পাঠানো বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের অভ্যেস-বিরুদ্ধ। রিগিংয়ের অভিযোগও এসেছে...
তা হলে আমি এভিকটেড হলাম কেন? আমি রিগিং করিনি। সুদীপ্তা তো এভিকশন-য়ের পরে বেরিয়ে বলেছে যে আমি নাকি ভোট ঠিক করে তার পর বাড়িতে গিয়েছিলাম! এটা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। উনি হেরে গিয়েছিলেন তাই এ সব বলেছেন। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এক অভিনেত্রী এ ভাবে হেরে গেলে তো কাউকে না কাউকে কিছু দোষ দিতেই হবে।

হঠাৎ করে বিগ বস-য়ের সাইটে এভিকটেড হওয়ার পর থেকেই হটেস্ট প্রতিযোগী হয়ে গিয়েছিলেন। এর রহস্যটা কী?
আমি ইন্টারনেট এক-দু’বার দেখেছি। একবার সেকেন্ডে ছিলাম। আর একবার প্রথম। কিন্তু আমার রোজ ইন্টারনেট দেখার অভ্যেসই নেই।

বিগ বস হাউজে থাকাকালীন মহেশ জালান
হটেস্ট কনটেসট্যান্ট হওয়া সত্ত্বেও আপনি এ সপ্তাহে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হতে পারলেন না কেন?
সেটা তো আমি জানি না। আমাকে এখনও কেউ ডাকেনি। বিগ বস-য়ের বাড়িতে থাকাকালীন আমি বেশ হোমসিক হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ওখানে ফিরে যাওয়া নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবিনি। বেরিয়ে যাওয়া প্রতিযোগীদের মধ্যে একমাত্র মল্লিকা ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হলে গেমটা ভাল জমত। কনট্রাক্ট সই করেছি ঠিকই। যদি আমাকে কখনও ডাকে তখন যেতে হবে হয়তো।

বাড়ি ফিরে কি নাকডাকাটা একটু বন্ধ হয়েছে আপনার?
আমার বৌ কোনও দিন এ নিয়ে অভিযোগ করেনি। মানুষ যখন নাক ডাকে সে তো সেটা জানে না। বাড়ি ফিরে যখন দেখলাম কী ভাবে হাউজমেটরা আমার নাকডাকা নিয়ে হাসাহাসি করছেন, আমার মনে হল যাক এন্টারটেন তো করছি! এটাই পাওনা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.