টুকরো খবর
দালাল-রাজ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হাওড়ায়
নতুন লাইলেন্স করতে বা তা নবীকরণ করাতে এলে সাধারণ মানুষকে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। অথচ দফতরের দালালদের দিয়ে করালে তা হয় মাত্র ৬ ঘণ্টায়। এই অভিযোগ তুলে শনিবার হাওড়া পুরসভার লাইসেন্স দফতরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া পুর-কর্মচারী সমিতি। পুর-কর্তৃপক্ষ অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও কেন এত দিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তার সদুত্তর মেলেনি। পুরসভা সূত্রে খবর, এ দিন বিক্ষোভকারীরা লাইসেন্স দফতরে ঢুকে দলীয় পতাকা ও পোস্টার লাগিয়ে দেন। বন্ধ থাকে কাজকর্ম। দাবি, দালালরাজ বন্ধ না হলে ও ১৫ বছর ধরে একই পদে থাকা অফিসারদের বদলি না করলে আন্দোলন চলবে। সমিতির সম্পাদক গুরুচরণ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “দালালদের টাকা না দিলে ঘুরতে হচ্ছে সকলকে। দুর্ব্যবহার করছেন দফতরের এক আধিকারিক, যিনি ১৫ বছর ধরে ওই পদে আছেন।” হাওড়ার পুর-কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “১৫ বছর ধরে একই পদে থাকা অধিকারিকদের বদলি করার সুপারিশ করেছি ছ’মাস আগে। তা কার্যকরী হয়নি। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” এ বিষয়ে লাইসেন্স দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সমীর সাহা বলেন, “শুনেছি, সেখানে সাধারণ মানুষকে অহেতুক ঘোরানো হয়। কিছু অবাঞ্ছিত লোকজনও দফতরে ঘোরাফেরা করেন। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।”

যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন
বাড়ির সামনে এক যুবককে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে হালিশহরের চিত্তরঞ্জন এলাকার ঘটনা। নিহতের নাম নিরঞ্জন পাল ওরফে পাপ্পু (৩২)। তিনি ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করতেন। তবে, খুনের কারণ শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে স্পষ্ট নয়। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে চার যুবক মোটরবাইকে করে এসে পাপ্পুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির অদূরে একটি কালভার্টের উপরে ছেলেকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখেছিলেন পাপ্পুর বাবা নিমাইবাবু। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে গুলির আওয়াজে তিনি ও পড়শিরা গিয়ে দেখেন পাপ্পু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি লাগে। কল্যাণী জওহরলাল মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। ওই চার যুবক তার ছেলেকে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে নিমাইবাবু অভিযোগ দায়ের করলেও কারও নামে করেননি। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই চার জনকে তিনি চেনেন না। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।

প্রহৃত বধূ, ধৃত স্বামী-দেওর
দাবি মতো বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায় এক বধূকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল স্বামী দেওর-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে। গত ১২ জুলাইয়ের গোপালনগর থানার পুঙলিয়ার ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী বাপি মুণ্ডা ও দেওর পরিতোষ মুণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে। শ্বশুর, শাশুড়ি পলাতক। বছর কয়েক আগে অশোকনগর থানার কাজলা পুটিয়ার সরস্বতী মুণ্ডার সঙ্গে বিয়ে হয় বাপি মুণ্ডার। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে সরস্বতীর উপর হত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হত বলে অভিযোগ। গত ১২ জুলাই শ্বশুরবাড়িতে প্রহৃত হওয়ার পর ওই বধূকে প্রতিবেশীরাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে চলে আসে মেয়ের বাপের বাড়ির লোকজন। তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই রয়েছে সরস্বতী। স্থানীয় চিকিৎসক দিয়েই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

যুবকের মৃত্যু, অভিযুক্ত পাঁচ
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক যুবকের। গত বৃহস্পতিবার জয়নগরের খাকুড়দহ গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার শেখ ওরফে সাহেব (২১) নামে ওই যুবককে অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার তিনি মারা যান। তিনি ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। সেকেন্দারের দাদা মিজানুর রহমান অবশ্য পুলিশে প্রতিবেশী একটি পরিবারে পাঁচ জনের নামে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে গত রবিবার তাঁর ভাইকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই বাড়ির একটি মেয়ের সঙ্গে সেকেন্দার সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে, এমন মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে মারধর করা হয়। পরের দিন সেকেন্দার অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই মারধরের জন্যই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ভাইয়ের দেহে তাঁরা কোনও আঘাতের চিহ্ন পাননি বলেও ওই অভিযোগে জানিয়েছেন সেকেন্দারের দাদা। পুলিশ জানায়, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। অভিযুক্তেরা পলাতক।

হিন্দুস্তান মোটরস নিয়ে বৈঠক
বিল বাকি থাকায় শুক্রবার উত্তরপাড়ার হিন্দুস্তান মোটরস কারখানার বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। শনিবার এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ওই কারখানার শ্রমিক আবাসন, দু’টি স্কুল এবং হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হল বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক জয়সি দাশগুপ্তের দফতরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা ওই বৈঠক করেন। ওই কারখানার অন্তত সাত কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে বলে মহাকরণ সূত্রে খবর।

পুরনো খবর:

শ্রমিকের মৃত্যু
জুটমিলের ভিতরে রাস্তায় ঘুমিয়ে থাকা এক শ্রমিককে পিষে দিল পাট বোঝাই একটি লরি। মৃতের নাম চাঁচলাল দাস। শুক্রবার রাতে নৈহাটির হুকুমচাঁদ জুটমিলের ঘটনা।

মৃত প্রার্থীর এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে সঙ্কট
হাওড়া জেলাপরিষদের শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ মণ্ডল ভোটের পর পথ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায়, তাঁর গণনা এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ, ওই দুর্ঘটনায় জখম দীনেশবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট মুকুলরঞ্জন মান্নাও। তিনিও কাউকে নিয়োগের অবস্থায় নেই। সমাধান খুঁজতে হাওড়া জেলাশাসকের দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আইনে বলা আছে, গণনা এজেন্ট নিয়োগ করতে পারেন প্রার্থী নিজে বা প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট। কমিশন এখন পুরনো নজির ঘেঁটে কোনও পথ খুঁজতে পারে। এ দিকে রাজ্যেই গণনা পর্ব যাতে নির্বিঘ্ন হয় তার জন্য ৩২৯টি ভোট গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শনিবারই কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

বালিকার শ্লীলতাহানি
বছর নয়েকের এক প্রতিবন্ধী বালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে ধরল পুলিশ। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার সগুনা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ওই বালিকাটি বাড়িতে একাই ছিল। সেই সুযোগে বাঞ্ছারাম সাহা নামে স্থানীয় এক যুবক বাড়ির ভেতরে ঢুকে তার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ছুটে আসেন। তাঁরাই বালিকাটিকে উদ্ধার করে ওই যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
ঘোলার বোর্ডঘর এলাকা থেকে শনিবার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নাম বর্ষা মণ্ডল ওরফে কেয়া। তার বাড়ির লোকদের জেরার জন্য আটক করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.