ঘরে ঢুকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শির বিরুদ্ধে। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার চারঘাট পঞ্চায়েত এলাকার পাতুয়া গ্রামের ঘটনা। ছাত্রীকে প্রথমে স্থানীয় শাঁড়াপুল হাসপাতালে ও পরে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, আজিজ সর্দার ওরফে আজি নামে ওই অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি বিলপাড়া এলাকায়। তার কিছু দূরেই পাতুয়া মোড়ের কাছে আজিজের বাড়ি। এ দিন সকালে ছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। তবে অন্য একটি ঘরে তার দাদু ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময় পিছন থেকে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় বছর বিয়াল্লিশের আজিজ। মুখে গামছা বেঁধে সে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। মুখের বাঁধন আলগা হতেই চিৎকার জুড়ে দেয় ছাত্রী। আজিজ দরজা খুলে পালাতে যায়। সেই সময়ে ছাত্রীর দাদু ছুটে এসে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। আজিজ তাঁকে ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় বলেও অভিযোগ। দাদু তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশীদের
ডাকতে গেলে তাঁর হাত ছাড়িয়ে পালায় আজিজ।
শুক্রবার বসিরহাট হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে ওই ছাত্রীর মা দাবি করেন, “ঘটনার পরে আজিজের ছেলে এসে পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিল। আমরা তা ফিরিয়ে দিয়েছি। অভিযুক্তের শাস্তি চাই।” তিনি আরও জানান, এর আগেও মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে আজিজের বিরুদ্ধে। |