বন্দরের স্বয়ংক্রিয় পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি বিদায়কে ‘ধাক্কা’ বলে স্বীকার করে নিলেন বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিংহ কাঁহালো। শনিবার হলদিয়া বন্দরে এক বৈঠকে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, “হলদিয়ায় গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩-৪ মিলিয়ন টন পণ্য কম এসেছে। কারণ লৌহ আকরিক আসা প্রায় বন্ধ।” তবে তাঁর দাবি, ওই ‘ধাক্কা’ সামলাতে বন্দর প্রস্তুত। তাঁর কথায়, “লোকসান সামলাতে আরও পণ্য আনার চেষ্টা করছি। ২ ও ৮ নং বার্থ ছাড়া বাকি বার্থগুলিও স্বয়ংক্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে।” সেপ্টেম্বরে বন্দরের বিরুদ্ধে শর্ত অনুযায়ী জাহাজ না পাওয়ার অভিযোগ তোলে এবিজি। পরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত শ্রমিকের বোঝা সামলাতে না পেরে শ্রমিক ছাঁটাই করে সংস্থা। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের অভিযোগ তুলে বন্দর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কাজ হারান ৬২৩ শ্রমিক। এখনও এবিজির ছেড়ে যাওয়া ২ ও ৮ নম্বর বার্থে কাজ চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বার বার টেন্ডার ডেকেও এবিজির মতো দর দিতে না পারায় এখনও কোনও সংস্থাকেই বরাত দেয়নি বন্দর। |
যাত্রী গাড়ি বিক্রি প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটাই কম। এই অবস্থায় ব্যবসা বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে এখন বাণিজ্যিক গাড়িকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে মারুতি-সুজুকি। সেই লক্ষ্যে নতুন ছোট বাণিজ্যিক গাড়ি আনার কথা শনিবার জানাল সংস্থা। আগামী দু’বছরের মধ্যেই যার ডিজেল ও সিএনজি মডেল চলবে দেশের রাস্তায়। মূল জাপানি সংস্থা সুজুকি-র ছোট বাণিজ্যিক গাড়ি ক্যারি-র মডেলকে ভিত্তি করেই তৈরি হবে এই গাড়ি। সংস্থার দাবি, তা পাল্লা দেবে টাটা মোটরসের ‘এস’ গাড়ির সঙ্গে। ১৯৮২ সালে সুজুকির সঙ্গে মারুতির চুক্তিতে উল্লেখ ছিল ছোট বাণিজ্যিক গাড়ি আনার বিষয়টিও। তখনই ক্যারি গাড়িটি ভারতে আনতে চেয়ে বাজার যাচাই করতে বুকিং নিয়েছিল মারুতি। কিন্তু চাহিদা না-থাকায় বুকিং-ও হয় মাত্র ২,০০০টি। ফলে সংস্থা সিদ্ধান্ত নেয় বিষয়টি স্থগিত রাখার। কিন্তু এখন অবস্থা পাল্টেছে। ক্রমাগত জ্বালানির দাম বাড়া এবং চড়া সুদের জেরে পেট্রোল গাড়ির চাহিদা তো কমেইছে। পাশাপাশি, গত কয়েক মাসে ডিজেলের দাম বাড়ায় কোপ পড়েছে এই গাড়ি বিক্রিতেও। সেই কারণেই অবশেষে বাণিজ্যিক গাড়ি ব্যবসায় পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মারুতি-সুজুকি।
|
কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে দেশের ১২টি বন্দরের মধ্যে প্রথম স্থান পেল কলকাতা বন্দর। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে এক অনুষ্ঠানে কলকাতা বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান আই জেয়কুমারের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কলকাতা বন্দরের এক মুখপাত্র জানান, ২০১২-’১৩ আর্থিক বছরের ফলাফলের বিচারেই এই পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা। কন্টেনার পরিবহণের ক্ষেত্রে কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে চাল, গম, পাট ও পাটজাত পণ্য, ঢালাই লোহার রফতানি বেড়েছে। আমদানি বেড়েছে বৈদ্যুতিন সামগ্রী, রাসায়নিক-সহ কয়েকটি পণ্যের। চেয়ারম্যান আর পি এস কাহালোঁ জানিয়েছেন, বন্দরের উন্নয়নে গ্রাহক উপযোগী নতুন কিছু পদক্ষেপ করা হবে।
|
পরিষেবা দিতে তিনটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শাখা চালু করল এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। অঞ্চলগুলি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের কঙ্কাবতী গ্রাম এবং হুগলির দিহিবাতপুর পঞ্চাননতলা ও গোপীনগর। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক হিসাবে তাঁরাই প্রথম ওই অঞ্চলগুলিতে শাখা খুলে ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু করলেন। ওই সব শাখায় দু’জন করে কর্মী রাখা হবে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কানট্রি হেড (ব্রাঞ্চ ব্যাঙ্কিং) নবীন পুরী বলেন, “বর্তমানে আমাদের ৫৩ শতাংশ শাখাই গ্রামীণ এবং আধা-শহর অঞ্চলে অবস্থিত। এ বার আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।” |