পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোটপত্র আলাদা বাক্সে ফেলার কথা। কিন্তু, তা একটি ব্যালট বাক্সে পড়ার ঘটনায় রাতভর ঘেরাও বিক্ষোভ হল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মাঝিয়ান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ৮২ নম্বর বুথে ঘটনাটি ঘটে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বুথের মধ্যে ঘেরাও করে রাখেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বালুরঘাটের তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় অভিযোগ করেন, “ঘটনাটি একাধিক বুথে ঘটার পরে প্রশাসন থেকে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের সতর্ক করা হয়। ওই বুথে ওই অনিয়ম চলতে থাকে। ৩টি ব্যালটই একটি ভোটবাক্সে ফেলা হয়। ফলে মানুষ প্রতিবাদে নামেন।”
|
ঘেরাও-মুক্তির পরে ব্যালট বাক্স নিয়ে স্ট্রংরুমের পথে ভোট-কর্মীরা।
শুক্রবার সকালে বালুরঘাটে ছবিটি তুলেছেন অমিতকুমার মোহান্ত। |
রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই ৮২ নম্বর বুথে ১১৩৭ জন ভোটারের মধ্যে ১১১৩ জনের ভোট গ্রহণের কাজ শেষ হতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ মহকুমাশাসক এবং বিডিও গিয়ে ওই বুথের ভোট বাতিল হবে না বলে আশ্বাস দিলে প্রিসাইডিং অফিসারেরা ঘেরাও মুক্ত হন। এ দিন জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “মাঝিয়ানের ৮২ নম্বর বুথে ঘটনায় প্রশাসনিক তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বুথের প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ধরণের ঘটনা যে সব বুথে হয়েছে, সেই বুথগুলির ভোট কি হবে, তা নির্বাচন কমিশনে জানতে চাওয়া হয়েছে।” এই ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে তৃণমূল। ভোটের দিন সকালের পর থেকে তপন ব্লকের খরপা, সিহর, গঙ্গারামপুরে চম্পাতলি, শয়রাপুর, নীলডাঙা, বিরানই, টোকি পুর, মুস্তাফাপুর বংশীহারির পত্রা, দেউরিয়া, থিঙ্গুর বুথে ত্রিস্তরের ব্যালট একসঙ্গে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাতে ভোটারের বিভ্রান্ত হয়ে পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ ব্যালট নির্দিষ্ট ভোটবাক্সের বদলে অন্য বাক্সে ফেলছেন বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র অভিযোগ করে বলেন, “সচেতনভাবে প্রিসাইডিং অফিসারের একাংশ ভোটারকে বিভ্রান্ত করেছেন। ভোট নষ্টের চেষ্টা হয়েছে। জেলাশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি।” |