অব্যবস্থার অভিযোগে অবরোধ
ল, খাবারের মত একাধিক বিষয় নিয়ে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর পুলিশ কর্মীরা ৩১-সি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শামুকতলার মজিদখানা এলাকার জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। এতে অসম, বিহার, রাজস্থানগামী কয়েকশো ট্রাক, বাস ও ছোটগাড়ি আটকে পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এক ঘণ্টা অবরোধের পরে পুলিশ অফিসারদের আশ্বাসে তা ওঠে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “ওই পুলিশ কর্মীরা সমস্যার জন্য পথ অবরোধ করেন। সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।”
শামুকতলা থানা এলাকার ভোটের নিরাপত্তার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭০০ সশস্ত্র পুলিশ কর্মীদের বুধবার রাতে শামুকতলায় আনা হয়। তাঁদের মজিদখানা হাইস্কুলে থাকার ব্যবস্থা হয়। অবরোধকারী পুলিশ কর্মীদের অভিযোগ, ২৪ জুলাই রাতে শামুকতলা আসার পরেই বুথে বুথে ভোটের ডিউটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওখানে খাবার পাওয়া যাবে বলা হলেও বেশির ভাগ বুথ প্রত্যন্ত এলাকায় থাকায় জল, খাবার পাওয়া যায়নি। বিদ্যুৎ ছিল না।
শামুকতলার মজিদখানা এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
শৌচাগারের সুষ্টু ব্যবস্থা ছিল না। রাতে মাঠে, বারান্দায় এবং ছাদে কাটাতে হয়েছে। কোনও ক্রমে মুড়ি মিললেও অধিকাংশ পুলিশ কর্মীর এদিন দুপুর অবধি ঠিকঠাক খাবার জোটেনি। শামুকতলা থানায় যোগাযোগ করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক এসআই জানান, গত বাইশ দিন ধরে ভোটের জন্য আমরা জেলার বাইরে রয়েছি। এখানে এসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে। স্থানীয় থানায় টেলিফোন করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে পথ অবরোধের রাস্তায় নামতে হয়েছিল। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “জেলায় দশ হাজার নিরাপত্তা কর্মী আনা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর জন্য কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছে। তবে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা মেটানো হয়েছে।” অব্যবস্থা অভিযোগ তুলছেন কোচবিহারে আসা পুলিশের কর্মীরাও। কোচবিহারে ভোটের জন্য ১৭ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী আসে। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের ৫০০ কর্মীকে আনা হয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে পুলিশ আনা হয়েছিল। ২৪ জুলাই ওই পুলিশ কর্মীরা জেলায় পৌঁছন। তাঁদের বিভিন্ন এলাকায় বুথে পাঠানো হয়। ভোটের দিন ডিউটি শেষ করে এদিন সকাল থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা জানান, বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা-খাওয়ার সমস্যা থাকেই। কিন্তু এমন এলাকায় কেন্দ্র হয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ নেই। একটি খাবারের দোকান নেই। বাজার ১-২ কিলোমিটার দূরে। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নজরে রাখলে এত মানুষকে ২-৩ দিন হয়রান হতে হত না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.