জুন মাসে মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক বদলি হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এরপর আর কোনও শল্য চিকিৎসক আসেননি। হাসপাতালের একমাত্র অস্থি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও উচ্চশিক্ষার জন্যে চলে যাওয়ার কথা। তাঁর বিকল্প মিলবে কি না তা জানেন না কর্তৃপক্ষ। মহকুমা হাসপাতালে ২৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ১৬ জন। এই অবস্থায় আগামী দিনে পরিষেবা নিয়ে চিন্তায় হাসপাতালের কর্মীরা। জলপাইগুড়ির সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ দেব সিংহ বলেন, “কবে চিকিৎসক মিলবে তা এখনই বলতে পারছি না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” মালবাজার মহকুমায় রয়েছে ৫০টিরও বেশি চা বাগান। এছাড়াও দার্জিলিং জেলার গরুবাথান ব্লকের বহু রোগী এই হাসাপাতালের ওপর নির্ভর করে। মালবাজারের সংগঠনের তরফে বহু হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হলেও তা হয়নি বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শল্য চিকিৎসক পার্থসারথি দেব বদলি হয়ে কালিম্পঙে চলে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। চিকিৎসকের বদলি রুখতে মালবাজার স্থানীয় বাসিন্দারা একজোট সুপারের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। বাসিন্দারা জানান, শুধু নামেই মহকুমা হাসপাতাল। আসলে এখানে কোনও পরিষেবাই মেলে না। চিকিৎসার জন্য সেবক হয়ে শিলিগুড়ি যেতে হয়। বাসিন্দারা জানান, গত মে মাস থেকে মহকুমা হাসপাতালে চালু হয়েছে ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট। কিন্তু সেখানেও চাহিদা মতো রক্ত মেলে না।
|
হলদিয়া মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিলের মামলার রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্ত বলেছিলেন রাজ্য সরকার, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কাউন্সিল একযোগে অনুমোদন বাতিল করেছে। শুক্রবার ওই কলেজ নিয়ে আপিল মামলার শুনানিতেও একই কথা বললেন বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় বলেন, কলেজ-কর্তৃপক্ষ একই ভবনে ডেন্টাল কলেজ চালাচ্ছিলেন। যা বিধিবহির্ভূত। বিচারপতি বলেন, সরকারও তো এমসিআইয়ের পথেই হাঁটছে। তিনি ফের জানান, এই মামলায় ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সব চেয়ে জরুরি। তাই মামলা দীর্ঘায়িত না-করে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষ করতে চান। তাঁর প্রশ্ন, বর্তমানে দু’টি আলাদা ভবনে দু’টি কলেজ চলছে। তা হলে সমস্যা কোথায়? মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে আইনজীবী সমরাদিত্য পাল এবং এস কে কপূর বলেন, মেডিক্যাল কলেজের জন্য আবেদনের সময়েই বলা হয়, কিছু দিন মেডিক্যাল কলেজের কিছু অংশে ডেন্টাল কলেজ চালানো হবে। তার ভিত্তিতেই সরকার সম্মতিমূলক শংসাপত্র দেয়। অনুমতি দেয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ও। কপূর বলেন, সরকার সেই শংসাপত্র আইনত খারিজ করতে পারে না। অথচ সরকার সেটাই করেছে।
পুরনো খবর: হলদিয়া মেডিক্যালের মামলা গেল নয়া বেঞ্চে
|
মিড ডে মিল কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা, মীনা দেবীর পলিগ্রাফ পরীক্ষা দিল্লির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার পুলিশ। এই কাণ্ডে ধৃত মীনা দেবীর পরিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য গত কালই আদালতের অনুমতি পেয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। ডিজিপি অভয়ানন্দ আজ বলেন, “আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না। তাই দিল্লিতে তার পরিগ্রাফ পরীক্ষা করা হবে। সেখানে অনেক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তবে কবে এই পরীক্ষা করা হবে তার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। যদি এই পরীক্ষায় ফল না হয় তা হলে কী হবে এই প্রশ্নে ডিজিপি বলেন, “প্রয়োজনে বিকল্প ভাবা হবে।”
পুরনো খবর: পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে মীনা দেবীর
|
শিলিগুড়িতে নেওটিয়া গেটওয়েল হেলথকেয়ার সেন্টারে চালু হল অত্যাধুনিক আইসিইউ। সংস্থার পক্ষ থেকে মধুমিতা সরকার জানান, আইসিইউতে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত নার্সরা থাকবেন। স্বাস্থ্য কর্মীদেরও সেই ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইমারজেন্সি এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। |