ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মৃত সলিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৫২) বাড়ি পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের পারবেলিয়ায়। বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যালে তাঁর মৃত্যু হয়। দিন কয়েক আগে বর্ধমানের অন্ডালের দীর্ঘনালা গ্রামেও জ্বরে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। চিকিৎসকদের অনুমান, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ওই গ্রামের অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুর ও বর্ধমানে ভর্তি।
পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ জানান, বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে সলিলবাবুর রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির নমুনা পাওয়া গিয়েছে। মনে হচ্ছে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই ওই রোগী মারা গিয়েছেন। বিশদ তথ্য পেতে বর্ধমান স্বাস্থ্য দফতরকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার তাপস ঘোষও জানান, নিতুড়িয়া থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই ব্যক্তি ওই দিন বিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন। ভোরে মারা যান। তাঁর ডেঙ্গি হয়েছিল বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এলাইজা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ জুলাই সলিলবাবু জ্বর নিয়ে নিতুড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে আত্মীয়রা তাঁকে আসানসোলের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়াতে বুধবার বিকালে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানেই মারা যান তিনি। সলিলবাবুর আত্মীয় পেশায় শিক্ষক মিন্টু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বর্ধমান মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গি জানিয়েছে।”
পারবেলিয়ার আরও কয়েকজনও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর চাউর হওয়াতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার পারবেলিয়াতে মেডিক্যাল দল পাঠিয়েছিল ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। চিকিৎসকেরা এলাকার পঞ্চাশটির বেশি পরিবারের রক্ত পরীক্ষা করেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন “বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।” |