হয় ১০ বছর গ্রামের হাসপাতালে চাকরি, না-হলে সরকারকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা।
অসমে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের জন্য এমনই ‘হুলিয়া’ জারি করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামোর অভাব, শহরের স্বাচ্ছন্দ্য এবং ‘প্রাইভেট প্রাকটিস’ ছেড়ে চিকিৎসকেরা গ্রামে যেতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ঘোষণা করেছে, গ্রামে গেলে বেতন, ভাতা মিলিয়ে শহরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বেতন মিলবে। গ্রামে যেতে আপত্তি থাকলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে সরকারকে। তবে, দেশের নামী হাসপাতালে উচ্চশিক্ষার জন্য মনোনীত চিকিৎসক-পড়ুয়ারা এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল হয়েছে। উজানি অসম, মাজুলি দ্বীপ, ধুবুরির চরের কোনও বাসিন্দা গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁদের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য উপায় থাকে না। কিন্তু অত দূরের রাস্তা যেতে রোগীরা আরও অসুস্থ হতে পারেন।
সরকারি নিয়মে, এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ শেষ করে এক বছর গ্রামে চিকিৎসা করতে হবে ডাক্তারি পড়ুয়াদের। তবেই স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার অনুমতি মিলবে। না-হলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এ বার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তরের পড়া শেষে, অন্তত ১০ বছর ডাক্তারদের গ্রামের হাসপাতালে থাকতে হবে। তবেই মিলবে শংসাপত্র, রেজিস্ট্রেশন নম্বর। যদি কেউ তা করতে রাজি না-হন, তখন তাঁকে তাঁর স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য সরকারি খরচ ও জরিমানা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে। টাকা না-দিলে স্নাতকোত্তরে উত্তীর্ণ চিকিৎসক শংসাপত্র তো পাবেনই না —তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করবে সরকার। ছাত্রছাত্রীরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন, ১০ বছরের ওই সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হোক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সময়সীমা পর্যায়ক্রমে ৫ বছর করা হলেও, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার পরিমাণ কমানো হবে না। |